বিপজ্জনক: পুরীগেট উড়ালপুলের দুর্ঘটনাস্থল। নিজস্ব চিত্র
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উড়ালপুলের গার্ডওয়ালে বাইক ধাক্কা মারায় মৃত্যু হল এক যুবকের। শুক্রবার রাতে খড়্গপুরের পুরীগেট উড়ালপুলের ঘটনা। মৃত শুকদেব দাসের (৩২) বাড়ি মেদিনীপুরের রাঙামাটিতে। পরপর দুর্ঘটনা ঘটায় পুরীগেট উড়ালপুলের নকশা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কেশিয়াড়ি, খাজরা, তালবাগিচা-সহ বিভিন্ন এলাকায় পারিবারিক কাজে গিয়েছিলেন শুকদেববাবু। সেখান থেকেই রাতে বাইকে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। দেরি হয়ে যাওয়ায় শুকদেববাবু দ্রুত গতিতে বাইক চালাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। উড়ালপুল থেকে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের দিকে নামার সময়ে বাঁকের কাছে বাইকের নিয়ন্ত্রণ হারান তিনি। বাইকটি উড়ালপুলের গার্ডওয়ালে ধাক্কা মারলে প্রাণ হারান শুকদেববাবু।
এই প্রথম নয়, পুরীগেট উড়ালপুলের বাঁকে আগেও একাধিকবার দুর্ঘটনা ঘটেছে। গত ৬ মে সকালে আইআইটি-র দিকে নামার সময়ে বাঁকে নিয়ন্ত্রণ হারান বাইক চালক। উল্টো দিক থেকে আসা জেলা পুলিশ লাইনের একটি বাসের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মৃত্যু হয় দুই বাইক আরোহীর। তারও আগে ২০১৬ সালের ৯ জুলাই ওই এলাকায় এক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় বিভাস চক্রবর্তী নামে এক যুবকের। ২০১৬ সালের ১৬ এপ্রিল উড়ালপুলের বাঁকের গার্ডওয়ালে বাইকের ধাক্কা লাগায় মৃত্যু হয় ইন্দার অভিষেক দে ও খরিদার ঈশ্বর রাওয়ের।
উড়ালপুল থেকে নামার সময় বাঁকের কাছে একই জায়গায় পরপর দুর্ঘটনা ঘটায় পুলিশের দাবি, ওই উড়ালপুলের নকশায় সমস্যা রয়েছে। উড়ালপুলে স্পিড ব্রেকার বসানোর জন্য পূর্ত দফতরের কাছে আবেদন জানানো হলেও কিছুই কাজ হয়নি। খড়্গপুরের এসডিপিও সন্তোষ মণ্ডল বলেন, “আগের বার না হয় পুলিশের গাড়ির সঙ্গে বাইকের ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনা ঘটে। কিন্তু এ বার উড়ালপুলের বাঁকের কাছে গিয়ে গার্ডওয়ালে ধাক্কা মারে বাইকটি। ওই উড়ালপুলের নকশায় সমস্যা থাকলে আমরা কী করব!”
যদিও এ নিয়ে পূর্ত দফতরের মেদিনীপুর ডিভিশনের এগ্জিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সুজন কাঞ্জিলাল বলেন, “ওই উড়ালপুলের বিষয়ে খোঁজ নেব।’’