ফের রেসিডেন্সিয়াল হাতির হামলায় প্রাণ হারালেন এক মহিলা। শনিবার ভোরে কলাইকুণ্ডা রেঞ্জের সাঁকরাইল বিটের জঙ্গল ঘেঁষা টিয়াকাটি গ্রামের ঘটনায় মৃতের নাম অলকা মাহাতো (৫১)। খড়গপুর ডিভিশনের ডিএফও অরূপ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মৃতের পরিবারকে আড়াই লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। সরকারি নিয়ম অনুয়ায়ী যা যা করণীয় তা করব।’’
বন দফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার ভোরে বাড়ির পাশের জঙ্গলে গিয়েছিলেন অলকাদেবী। আচমকা একটি দাঁতালের সামনে পড়ে যান তিনি। ভোরের আলো-আঁধারিতে মূহুর্তের মধ্যে অলকাদেবীকে শুঁড়ে তুলে পায়ে পিষে মেরে ফেলে দাঁতালটি। মৃতার স্বামী লক্ষ্মণ মাহাতো বলেন, ‘‘প্রতিদিনের মতো আজও অলকা ভোরের দিকে জঙ্গলে গিয়েছিল। আমাদের এলাকায় তিনটি হাতি কিছুদিন ধরেই রয়েছে। কিন্তু ওরা যে এভাবে অলকাকে মেরে ফেলবে ভাবতেও পারিনি।’’
দিন কয়েক আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বাঁকুড়ার সুলুকপাহাড়িতে এক প্রশাসনিক জনসভায় জানিয়েছিলেন, জঙ্গলমহলে হাতির হানায় কেউ মারা গেলে সরকার ক্ষতিপূরণের টাকা তো দেবেই। এমনকী পরিবারের একজনকে চাকরিও দেওয়া হবে। তা হলে অলকাদেবীর পরিবারের কি কেউ চাকরির পেতে পারেন? এ প্রসঙ্গে বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চাকরি সংক্রান্ত কোনও নির্দেশ এসে পৌঁছয়নি। ফলে সে বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাবে না।
২০১৫-১৬ সালে কলাইকুন্ডা রেঞ্জে রেসিডেন্সিয়াল হাতির হানায় প্রাণ হারান দু’জন। বুনো হাতিদের গতিবিধি এবং হাতি দেখলে কি করা উচিত তা নিয়ে এলাকায় মাঝে মাঝেই পথ নাটিকা করায় বন দফতর। মাস ছয়েক আগে খড়গপুরে বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন জানান, এলাকায় দলমার হাতির পাল এবং রেসিডেন্সিয়াল হাতির আক্রমণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ক্রমশ বেড়ে চলেছে। প্রতি বছর জানুয়ারি মাস থেকে রেসিডেন্সিয়াল হাতিদের পাশাপাশি দলমার হাতির পাল ভিড় জমায়। ক্ষতির পরিমাণও বছরের এই সময় অনেকটা বেড়ে যায়।