সিআইডি-র হাতে ধৃত আরও এক

রুনুদেবী দীর্ঘদিন পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। তাঁকে ধরতে তাঁরই কয়েকজন পরিচিতের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছিলেন তদন্তকারীরা। ওই পরিচিতেরা তদন্তকারী সংস্থার ‘সোর্স’ হিসেবে কাজ করেছেন। সোমবারই মুন্সিপাটনায় ফিরেছিলেন রুনুদেবী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০১৭ ০১:৪৫
Share:

মেদিনীপুরের মহিলা সমবায় ব্যাঙ্কে আর্থিক প্রতারণা কাণ্ডে আরও একজনকে গ্রেফতার করল সিআইডি। ধৃতের নাম রুনু দে। রুনুদেবী ব্যাঙ্কের চেয়ারপার্সন ছিলেন। সোমবার রাতে মেদিনীপুর গ্রামীণের মুন্সিপাটনা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে সিআইডি। মঙ্গলবার ধৃতকে মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে হাজির করা হয়। ধৃতের তিন দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ হয়েছে।

Advertisement

রুনুদেবী দীর্ঘদিন পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। তাঁকে ধরতে তাঁরই কয়েকজন পরিচিতের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছিলেন তদন্তকারীরা। ওই পরিচিতেরা তদন্তকারী সংস্থার ‘সোর্স’ হিসেবে কাজ করেছেন। সোমবারই মুন্সিপাটনায় ফিরেছিলেন রুনুদেবী। এক সূত্রে খবর পেয়ে ওই দিন রাতে সেখানে হানা দেয় সিআইডি-র দল। হাতেনাতে গ্রেফতার হন তিনি।

মেদিনীপুরের বার্জটাউনে রয়েছে ‘মহিলা কো-অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটি’ নামে মহিলা সমবায় ব্যাঙ্ক। এই ব্যাঙ্কের পরিচালন সমিতির সম্পাদিকা ছিলেন মধুমিতা ভুঁইয়া। মধুমিতাদেবী মেদিনীপুরের তৃণমূল নেতা সুকুমার ভুঁইয়ার স্ত্রী। অভিযোগ, স্ত্রীকে সামনে রেখে ব্যাঙ্কের সব কিছু পরিচালনা করতেন সুকুমারবাবুই। প্রায় ১ কোটি ৩১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা তছরুপের মামলার তদন্ত
করছে সিআইডি। এই মামলায় অভিযুক্ত সাতজন। তার মধ্যে ছ’জন গ্রেফতার হলেন। রুনুদেবীকে পাঁচ দিনের জন্য হেফাজতে চেয়ে আবেদন করেছিল সিআইডি। তিন দিনের জন্য হেফাজতে মিলেছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন