Bus Accident

খড়্গপুরে ওড়িশাগামী বাসে আগুন লাগার ঘটনায় মৃত্যু এক যাত্রীর! কী ভাবে দুর্ঘটনা? তদন্তে ফরেন্সিক দল

খড়্গপুরে জাতীয় সড়কের উপর শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ ওড়িশাগামী একটি যাত্রিবাহী বাসে আচমকা আগুন ধরে যায়। বাস থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে যান চালক এবং কন্ডাক্টর। যাত্রীরাও লাফ দেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৩ ১৪:৫৮
Share:

খড়্গপুরের রাস্তায় চলন্ত বাসে আগুন ধরে যায়। —ফাইল চিত্র।

কলকাতা থেকে ওড়িশাগামী বাসে আগুন লেগে যাওয়ার ঘটনায় মৃত্যু হল এক যাত্রীর। দেহ উদ্ধার করে ইতিমধ্যে তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে বাসে থাকা বাকি ৩৬ জন যাত্রীকে। পাশাপাশি, চলন্ত বাসে আগুন লাগার কারণ জানতে ফরেন্সিক দলের সাহায্য নিচ্ছে পুলিশ।

Advertisement

খড়্গপুরে জাতীয় সড়কের উপর শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ ওড়িশাগামী একটি যাত্রিবাহী বাসে আচমকা আগুন ধরে যায়। বাস থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে যান চালক এবং কন্ডাক্টর। প্রাণ বাঁচাতে যাত্রীদের কেউ কেউ দরজা দিয়ে লাফ দেন। কেউ কেউ আবার কাচের জানলা ভেঙে ঝাঁপ দেন রাস্তায়। আগুন নেভানোর চেষ্টার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের উদ্ধারের কাজ শুরু হয়। তবে অল্পবিস্তর আঘাত পাওয়া ছাড়া প্রাণহানির কোনও খবর পাওয়া যায়নি। শনিবার জানা গেল, এক যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত তাঁর পরিচয় জানা যায়নি। এ নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার বলেন, ‘‘বাসে থাকা ৩৬ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। থানায় নিয়ে গিয়ে তাদের কাছ থেকে খোঁজখবর নেওয়া হয়। পাশাপাশি এক জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর বোঝা যাবে মৃত্যুর কারণ।’’ পুলিশ সুপারের সংযোজন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, শর্টসার্কিট থেকেই বাসে আগুন লেগেছে। ফরেন্সিক দলের রিপোর্ট এলে বিষয়টি স্পষ্ট বোঝা যাবে।’’ অন্য দিকে, এ নিয়ে জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি বলেন, ‘‘বাস দুর্ঘটনায় ৩৬ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু এক জনের মৃত্যু হয়েছে। দমকল, পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকেরা উদ্ধারকাজ চালিয়ে গিয়েছেন। উদ্ধার হওয়া যাত্রীদের ওড়িশা পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে শুক্রবার রাতেই খড়্গপুর লোকাল থানায় যান মন্ত্রী মানস ভুইঞা। তিনি বলেন, ‘‘স্থানীয় প্রশাসন থেকে পুলিশ সুপার উদ্ধারকাজ করেছেন। এক জনের মৃত্যু হয়েছে। আগুন কী ভাবে লাগল তার তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সবার পাশে রয়েছেন স্থানীয় নেতৃত্ব।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন