সবংয়ে বাকি শুধু বিজেপি প্রার্থীর নাম ঘোষণা

বরাবরই ভোটের ময়দানে বাড়তি গুরুত্ব রয়েছে সবংয়ের। গোটা জেলা যখন বামদুর্গ, তখনও পশ্চিম মেদিনীপুরের এই বিধানসভা থেকে হাত চিহ্নে জিতেছেন মানস ভুঁইয়া।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০১৭ ০০:৩২
Share:

প্রার্থীর নাম আগেই ঘোষণা করেছিল সিপিএম ও তৃণমূল। মঙ্গলবার কংগ্রেসও সবং বিধানসভার উপ-নির্বাচনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিল। হাত চিহ্নে প্রার্থী হচ্ছেন সবংয়ের নেতা চিরঞ্জিৎ ভৌমিক। তবে বিজেপি প্রার্থীর নাম ঘোষণা এখনও বাকি। যদিও প্রচারে ঝাঁপাতে তৈরি গেরুয়া শিবির। দল সূত্রের খবর, আগামী ২ ডিসেম্বর মুকুল রায়ের জনসভার জন্য ইতিমধ্যেই সবং হাইস্কুলের মাঠ চেয়ে আবেদন করেছে বিজেপি।

Advertisement

বরাবরই ভোটের ময়দানে বাড়তি গুরুত্ব রয়েছে সবংয়ের। গোটা জেলা যখন বামদুর্গ, তখনও পশ্চিম মেদিনীপুরের এই বিধানসভা থেকে হাত চিহ্নে জিতেছেন মানস ভুঁইয়া। সেই মানসবাবুই তৃণমূলে গিয়ে এখন সাংসদ হয়েছেন। আর তার জেরে ফের ভোটের মুখোমুখি সবং। মানসবাবুর খাসতালসুকে তাঁর স্ত্রী গীতা ভুঁইয়াকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। নতুন-পুরনো দ্বন্দ্ব যাতে ভোটের ফলে ছাপ না ফেলে, সে জন্য সবংয়ে এসে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তথা পুরনো শিবিরের নেতার সঙ্গে দেখা করেছেন মানস-জায়া। প্রচারে ঝাঁপানোর আর্জি জানিয়েছেন।

দেওয়াল দখলের লড়াইয়ে ইতিমধ্যে নেমেছে চারটি দলই। প্রার্থীর নামের জায়গা ফাঁকা রেখেই দেওয়াল লিখছে বিজেপি। বিজেপির সবং মণ্ডল সভাপতি শান্তনু সাহু বলেন, “প্রার্থীর নাম ঘোষণা হলেই মিছিল, পথসভা শুরু করব। তবে এখন ২ ডিসেম্বরের জনসভার জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে। ওই জনসভায় মুকুল রায় উপস্থিত থাকতে পারেন।”

Advertisement

প্রচারে কোনও খামতি রাখতে চাইছে না কংগ্রেসও। দলীয় প্রার্থী চিরঞ্জিৎ ভৌমিক বলেন, “দেওয়াল লিখন শুরু হয়েছে। আমাদের প্রদেশ নেতারা সবংয়ে প্রচারে আসার জন্য প্রস্তুত। আমরা তাই প্রচার নিয়ে বুধবার ব্লকের কর্মীদের নিয়ে বৈঠকে বসছি। ওই বৈঠকের পরেই প্রচারের রূপরেখা তৈরি হবে।” মনোনয়নপত্র তুললেও জমা করেননি সিপিএম প্রার্থী রীতা মণ্ডল জানা। তবে বাড়ি-বাড়ি প্রচার শুরু হয়েছে। সিপিএমের জোনাল সম্পাদক চন্দন গুছাইত বলেন, “আমরা মূলত বাড়ি-বাড়ি প্রচার ও পাড়া বৈঠকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। তবে রাজ্য নেতৃত্বের উপস্থিতিতে বড় জনসভারও প্রস্তুতি নিচ্ছি।”

তৃণমূল অবশ্য এখনও প্রচারে রূপরেখা ঠিক করতে পারেনি। এর পিছনে তৃণমূলের নতুন-পুরনো বিরোধই প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে মনে করছেন জেলা রাজনীতির পর্যবেক্ষকরা। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে নতুন-পুরনো বিভেদ মেটাতে উঠেপড়ে লেগেছেন তৃণমূলের জেলা নেতারা। আজ, বুধবার মেদিনীপুরে সবংয়ের সবপক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসবেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি। ২ডিসেম্বর দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর উপস্থিতিতে কর্মী বৈঠকেরও আয়োজন হচ্ছে। তৃণমূল জেলা সভাপতি অজিতবাবু অবশ্য এ দিন বলেন, “আমাদের কোনও কোন্দল নেই। সকলকে নিয়ে মেদিনীপুরে বুধবার বৈঠকে বসে কী ভাবে প্রচার হবে তা ঠিক করা হবে। শীর্ষ নেতৃত্ব প্রচারে আসবেন। আর ২ ডিসেম্বর রাজ্য সভাপতি সবংয়ে কর্মী বৈঠক করবেন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন