Dengue

কেন রোগী ভিন্ রাজ্যে, বিক্ষোভ মেডিক্যালে

এখন রোজই জ্বর নিয়ে মেদিনীপুর মেডিক্যালে আসছেন অনেকে। কারও ডেঙ্গির উপসর্গ নিয়ে, কারও বা ম্যালেরিয়ার। তবে মেডিক্যালে ঠিকমতো চিকিত্সা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। এ নিয়ে রোগী এবং রোগীর পরিজনেদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০১৭ ০০:৪০
Share:

মেদিনীপুর মেডিক্যালের সামনে বামেদের প্রতিবাদ। নিজস্ব চিত্র

ডেঙ্গি আক্রান্তদের ঠিক মতো চিকিৎসা হচ্ছে না— এই অভিযোগে সোমবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দফায় দফায় বিক্ষোভ হল। বিক্ষোভ দেখিয়েছে সিপিএম, কংগ্রেসের মতো বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। ডেপুটেশনও দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, চিকিত্সার দিকে সব সময় নজর রাখা হয়েছে। হাসপাতাল সুপার তন্ময়কান্তি পাঁজার কথায়, ‘‘হাসপাতালে জ্বর নিয়ে অনেকে আসছেন। জ্বরে আক্রান্তদের চিকিত্সাও হচ্ছে।’’

Advertisement

মেদিনীপুর মেডিক্যালে চিকিৎসা পরিকাঠামোর অভাবে বহু রোগী কলকাতা বা কটক হাসপাতালে চলে যাচ্ছেন। এ নিয়ে সোমবারই খবর প্রকাশিত হয়েছে। তারপরই এ দিনের বিক্ষোভ। মেদিনীপুরের কংগ্রেস নেতা সৌমেন খানেরও অভিযোগ, “হাসপাতালে এসে মানুষ পরিষেবা পাচ্ছেন না। ডেঙ্গি রোগীকেও সিনিয়র ডাক্তাররা এসে একবার দেখছেনও না। অগত্যা ডেঙ্গি আক্রান্ত চিকিত্সার জন্য কটকে চলে যাচ্ছেন। কেন এটা হবে?’’ মেদিনীপুরের সিপিএম নেতা সারদা চক্রবর্তীও বলেন, “হাসপাতালে সিনিয়র ডাক্তাররা সময় মতো আসছেন না। বিশেষ করে রাতের দিকে হাসপাতালে কোনও রোগী এলে তাঁকে নানা সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। জ্বরে আক্রান্তদের চিকিত্সায় বাড়তি নজর দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের প্রতিবাদ এখানেই।’’ এ দিন সকালে হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখায় সিপিএম। দলের নেতা-কর্মীরা মিছিল করে হাসপাতালে যান। প্রধান ফটকের সামনেই বিক্ষোভ হয়। দুপুরে হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা-কর্মীরাও মিছিল করে হাসপাতালে আসেন।

এখন রোজই জ্বর নিয়ে মেদিনীপুর মেডিক্যালে আসছেন অনেকে। কারও ডেঙ্গির উপসর্গ নিয়ে, কারও বা ম্যালেরিয়ার। তবে মেডিক্যালে ঠিকমতো চিকিত্সা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। এ নিয়ে রোগী এবং রোগীর পরিজনেদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিচ্ছে। দিন কয়েক আগে প্রচণ্ড জ্বর নিয়ে মেডিক্যালে এসেছিলেন মমতা গিরি। একদিন ভর্তি থাকার পরেই অবশ্য তাঁকে কটকের হাসপাতালে নিয়ে চলে যান পরিজেনা। তাঁর ডেঙ্গি ধরা পড়েছে। মমতাদেবীর শ্বাশুড়ি আরতি গিরির বক্তব্য, “মেদিনীপুরের এই হাসপাতালে বৌমার ঠিক মতো চিকিত্সা হচ্ছিল না। বাধ্য হয়ে বৌমাকে কটকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’’

Advertisement

সিপিএম, কংগ্রেসের মতো বিরোধী দলগুলোর বক্তব্য, জ্বরের চিকিত্সায় হাসপাতালের তত্পর হওয়া উচিত। অথচ, সবই গতানুগতিক ভাবে চলছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবশ্য বক্তব্য, যে পরিকাঠামো রয়েছে, সেই পরিকাঠামোর মধ্যে থেকে ভাল পরিষেবা দেওয়ার সব রকম চেষ্টা হয়। কোনও অভিযোগ এলে তাও খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এ দিনের বিক্ষোভে চিকিত্সা পরিষেবায় কোনও বিঘ্ন হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন