প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল

পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে পদত্যাগের নির্দেশ

তমলুক লোকসভা নির্বাচনের মুখে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় শাসক দল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল পাঁশকুড়া ব্লকে। তৃণমূল পাঁশকুড়া- ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি লিপিকা জানা হাজরার বিরুদ্ধে দলেরই অধিকাংশ পঞ্চায়েত সমিতি সদস্য অনাস্থা প্রকাশ করেছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০১৬ ০০:০০
Share:

তমলুক লোকসভা নির্বাচনের মুখে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় শাসক দল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল পাঁশকুড়া ব্লকে।

Advertisement

তৃণমূল পাঁশকুড়া- ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি লিপিকা জানা হাজরার বিরুদ্ধে দলেরই অধিকাংশ পঞ্চায়েত সমিতি সদস্য অনাস্থা প্রকাশ করেছিলেন। এরপরই দলের জেলা সভাপতি শিশির অধিকারী লিপিকাদেবীকে সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করার জন্য মঙ্গলবার চিঠি দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। অবশ্য বুধবার শিশিরবাবু বলেন, ‘‘এটা দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে কিছু বলব না।’’

তাঁকে দলীয় ভাবে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগের নির্দেশ সম্বলিত চিঠি দেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে লিপিকাদেবীর উত্তর, ‘‘আমার কাছে এবিষয়ে কোন চিঠি আসেনি। আমি বিষয়ে কিছু জানি না।’’

Advertisement

পাঁশকুড়া পঞ্চায়েত সমিতিতে ৪০ জন সদস্য রয়েছে। এর মধ্যে তৃণমূলের ৩২ জন। বাকি বিরোধী দলের। সম্প্রতি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি লিপিকাদেবীর বিরুদ্ধে দলের অধিকাংশ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অনাস্থা প্রকাশ করে দলের জেলা সভাপতির কাছে চিঠি দেন। এরপর জেলা সভাপতি তমলুকে এক দলীয় বৈঠক ডেকে এ বিষয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের মতামত নেন। তাতে অধিকাংশ সদস্য লিপিকাদবীর প্রতি অনাস্থার কথা জানান।

এরপরেই দলের জেলা সভাপতি শিশিরবাবু ১৮ অক্টোবর লিখিতভাবে চিঠি দিয়ে লিপিকাদেবীকে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছেন।

এ দিকে লিপিকাদেবীকে দলের জেলা নেতৃত্বের চিঠি দেওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই বুধবার দুপুরে পাঁশকুড়া-১ পঞ্চায়েত সমিতির অফিসের সামনে সরকারি গাড়ি থেকে সভাপতির নেমপ্লেট খুলে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে লিপিকাদেবীর বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুজিত রায়ের বিরুদ্ধে। লিপিকাদেবীর অভিযোগ, ‘‘অফিস চত্বরে দাঁড় করানো সরকারি গাড়ি থেকে সভাপতির নেমপ্লেট খুলে দেন সুজিতবাবু ও তাঁর ঘনিষ্ঠ লোকেরা। গাড়ির চালককেও হুমকি দেওয়া হয়।’’

পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সুজিত রায় অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘অভিযোগ ভিত্তিহীন। পঞ্চায়েত সমিতির একজন পদাধিকারী হয়ে আমি ওই গাড়ির নেমপ্লেট খুলতে যাব কেন।’’

এ বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি শিশির অধিকারী বলেন, ‘‘আমি বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন