রাধানগরে উদ্ধার ট্যারান্টুলা

ঝাড়গ্রামের ভারপ্রাপ্ত ডিএফও রবীন্দ্রনাথ সাহা বলেন, “প্রায় ৮ সেন্টিমিটার লম্বা মাকড়সাটি ভারতীয় ট্যারান্টুলা প্রজাতির বলে মনে হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের দিয়ে যাচাই করানো হবে।” বন দফতর সূত্রে খবর, এই এলাকায় ট্যারান্টুলার থাকাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০১৭ ০০:৩৬
Share:

বোতলবন্দি: উদ্ধার হওয়া ট্যারান্টুলা। নিজস্ব চিত্র

ফের ট্যারান্টুলা উদ্ধার হল ঝাড়গ্রামে। শনিবার সন্ধ্যায় শহরের কাছে রাধানগর গ্রামের মোড়ে রোমশ মাকড়সাটিকে দেখতে পান একটি মিষ্টির দোকানের মালিক গোপাল মান্না। সেটি ট্যারান্টুলা বলে সন্দেহ হয় হওয়ায় কৌটোয় ভরে রেখে বন দফতরে খবর দেন তিনি। রবিবার ঝাড়গ্রাম চিড়িয়াখানায় মাকড়সাটি জমা দেওয়া হয়।

Advertisement

ঝাড়গ্রামের ভারপ্রাপ্ত ডিএফও রবীন্দ্রনাথ সাহা বলেন, “প্রায় ৮ সেন্টিমিটার লম্বা মাকড়সাটি ভারতীয় ট্যারান্টুলা প্রজাতির বলে মনে হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের দিয়ে যাচাই করানো হবে।” বন দফতর সূত্রে খবর, এই এলাকায় ট্যারান্টুলার থাকাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। ভারতীয় ট্যারান্টুলা পোকামাকড় খেয়ে উপকারই করে। এদের বিষে প্রাণহানি বা বড় বিপদের আশঙ্কা নেই। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্যারান্টুলা জাল বোনে না। স্যাঁতসেতে জঙ্গল এলাকায় পাতার তলায় এরা লুকিয়ে থাকে। শরীর থেকে চটচটে জেলি জাতীয় পদার্থ ছিটিয়ে শিকার ধরে এরা। ডিএফও-র আবেদন, “এই ধরনের মাকড়সা দেখলে পেলে অযথা আতঙ্কিত হয়ে সেটিকে মেরে ফেলবেন না।”

রাধানগর গ্রামের নিরঞ্জন পাল, সঞ্জিত পাল বলেন, “এলাকার ঝোপজঙ্গলে এ রকম মাকড়সা দেখলে ভয় হয়।” মাকড়সা উদ্ধারের পরে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

Advertisement

গত কয়েক বছর ধরে ঝাড়গ্রাম জেলার বিভিন্ন এলাকায় ট্যারান্টুলা পাওয়া যাচ্ছে। ঝাড়গ্রামের পরিবেশ কর্মী মৃণ্ময় সিংহ বলেন, “ট্যারান্টুলা নিয়ে অহেতুক আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে। জঙ্গলের পরিধি কমে যাওয়ার ফলে মানুষ ও বন্যপ্রাণের মধ্যে সংঘাত তৈরি হচ্ছে। ফলে আমাদেরই সতর্ক থাকতে হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন