পার্থ শুনলেন মনের কথা, প্রযুক্তি খোঁচা বিজেপিকে

রামগড়ে জেলা শিক্ষণ প্রশিক্ষণ সংস্থার দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের উদ্বোধনের পরে ঝাড়গ্রাম শহরে সিদো-কা‌নহো, বিরসা মুণ্ডা ও স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তির আনুষ্ঠানিক উন্মোচন করেন পার্থ। জেলাশাসকের সভাঘরে পুর এলাকার ‘হাউসিং ফর অল’ প্রকল্পের উপভোক্তাদের হাতে অনুমোদনপত্র তুলে দেন। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:৪৮
Share:

জেলা শিক্ষণ প্রশিক্ষণ সংস্থার দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের উদ্বোধনে। নিজস্ব চিত্র

বিজেপি-র লোকজন নেই, তাই ওদের প্রযুক্তির উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ কর্মসূচি নিয়ে বুধবার রামগড়ে এমনই কটাক্ষ করলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

Advertisement

রামগড়ে জেলা শিক্ষণ প্রশিক্ষণ সংস্থার দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের উদ্বোধন অনুষ্ঠান সেরে ফেরার সময় পার্থকে বিজেপি-র বৃহস্পতিবারের কর্মসূচি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি-র জনসমর্থন নেই। তাই জঙ্গলমহলে মানুষের মনের কথা জানতে ওদের প্রযুক্তির সাহায্য নিতে হয়। মুখ্যমন্ত্রীকে প্রযুক্তির সাহায্য নিতে হয় না। কারণ, তিনি নিয়মিত জঙ্গলমহলে আসেন। মানুষের কাজ করেন।’’

রামগড়ে জেলা শিক্ষণ প্রশিক্ষণ সংস্থার দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের উদ্বোধনের পরে ঝাড়গ্রাম শহরে সিদো-কা‌নহো, বিরসা মুণ্ডা ও স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তির আনুষ্ঠানিক উন্মোচন করেন পার্থ। জেলাশাসকের সভাঘরে পুর এলাকার ‘হাউসিং ফর অল’ প্রকল্পের উপভোক্তাদের হাতে অনুমোদনপত্র তুলে দেন।

Advertisement

সবশেষে বিকেলে ঝাড়গ্রাম শহরের দেবেন্দ্রমোহন হলে দলের কোর কমিটির বৈঠক করেন পার্থ। ওই বৈঠকে দল ও শাখা সংগঠনের সব স্তরের নেতা-নেত্রী ও জনপ্রতিনিধিরা হাজির ছিলেন। তৃণমূল সূত্রের খবর, দলীয় বৈঠকে উষ্মাপ্রকাশ করে পার্থ জানতে চান, কী ভাবে বিজেপি এখানে মন কী বাত অনুষ্ঠান করতে চলেছে? তার মানে তো বিজেপি-র সক্রিয়তা বাড়ছে। ঝাড়গ্রাম জেলায় দলের নেতারা দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছেন না বলে রীতিমতো ধমক দিয়ে পার্থ জেলাস্তরের এক প্রথম সারির নেতাকে বলেন, দায়িত্ব নিয়ে কাজ না করতে পারলে পদ আঁকড়ে রেখে কী লাভ! তাহলে সরে যাওয়া ভাল!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement