দুর্ভোগ: খড়্গপুর স্টেশনের মালগুদামের দিকে নেই কোনও সাবওয়ে, এস্কালেটর। ভোগান্তি যাত্রীদের। ছবি: দেবরাজ ঘোষ
স্টেশনের দক্ষিণ প্রান্তে যাত্রীদের সুবিধায় রয়েছে সাবওয়ে ও এস্কালেটর। রয়েছে গাড়ি পার্কিং ও যাত্রীদের দাঁড়ানোর ছাউনি। কিন্তু খড়্গপুর স্টেশনের উত্তর প্রান্তে এ সব কিছুই নেই। প্ল্যাটফর্মে পৌঁছতে যাত্রীদের ভরসা ফুটব্রিজ। এতেই বিপাকে পড়ছেন অসুস্থ ও প্রবীণ যাত্রীরা।
খড়্গপুর স্টেশনের উত্তর প্রান্তে টিকিট কাউন্টার থেকে ভারী ব্যাগপত্র নিয়ে রাস্তা পার করে সিঁড়ি ভেঙে ফুটব্রিজে উঠতে নাভিশ্বাস উঠছে যাত্রীদের। বছর কয়েক আগে একটি লিফট চালু হলেও অধিকাংশ দিন তা বিকল থাকে বলে অভিযোগ। স্টেশনের দক্ষিণ দিকে যে ভাবে পরিকাঠামো উন্নয়ন হচ্ছে তার সিকিভাগ হয়নি এই উত্তর অংশে। তাই যাত্রীদের দীর্ঘদিনের দাবি, স্টেশনের উত্তর দিকেও গড়ে তোলা হোক সাবওয়ে ও এস্কালেটর। তবে এখনও তা না হওয়ায় ক্ষুব্ধ যাত্রীরা। খড়্গপুর-হাওড়া ডেইলি প্যাসেঞ্জার্সের সাধারণ সম্পাদক খড়্গপুরের ইন্দার বাসিন্দা জয় দত্ত বলেন, “আমি নিজেও মালগুদাম হয়েই স্টেশনে প্রতিদিন যাতায়াত করি। সিঁড়ি ভেঙে ফুটব্রিজে উঠতে যে কী কষ্ট হয় যাত্রীদের তা ভাষায় প্রকাশ অসম্ভব। আমরা সাবওয়ে ও এস্কেলেটরের দাবিতে বহু বছর ধরে চেষ্টা চালাচ্ছি। কিন্তু মালগুদামের অংশ এখনও অবহেলিত।”
বছর সাতেক আগে স্টেশনের উত্তর থেকে দক্ষিণ দিক পর্যন্ত সাবওয়ে গড়ার দাবি জানিয়েছিল নিত্যযাত্রীরা। কাজ হওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন সেই সময়ের কমার্শিয়াল ম্যানেজার। কিন্তু তার পরে এখনও কিছুই হয়নি।
ক্ষোভ যে বাড়ছে তা রেল কর্তৃপক্ষের অজানা নয়। খড়্গপুরের সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার কুলদীপ তিওয়ারি বলেন, “সাবওয়ের দাবি রয়েছে আমরা জানি। আমরা স্টেশনের দুই অংশের সঙ্গে প্ল্যাটফর্মগুলিকে জুড়তে সাবওয়ের পরিকল্পনা করছি। অন্য পরিকাঠামো উন্নয়নের চেষ্টা চলছে। দেখা যাক!”
শুধু সাবওয়ে ও এস্কালেটর সমস্যা নয়, এই মালগুদাম এলাকায় থাকে না কোনও ট্রেন চলাচলের ডিসপ্লে। নেই যাত্রীদের গাড়ি পার্কিং বা দাঁড়ানোর মতো ছাউনি। এমনকী, টিকিট কাউন্টার থেকে ফুটব্রিজ পর্যন্ত আসতে বর্ষাকালে ভিজে যেতে হয়। অপরিচ্ছন্ন থাকে টিকিট কাউন্টার। নেই অনুসন্ধান কেন্দ্র।
শহরের ভবানীপুরের বাসিন্দা বেসরকারি সংস্থার কর্মী শ্রীজীব মণ্ডল বলেন, “আমাদের এলাকা থেকে মালগুদাম দিয়েই স্টেশনে যাতায়াত সবচেয়ে সুবিধা। ছোট থেকে মালগুদাম চত্বরকে যে ভাবে দেখেছি, এখনও একই অবস্থা রয়েছে।’’
(শেষ)