চিকিৎসক দেখিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় পিডিএস নেতা ও তাঁর বাবা-মা সহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার বিকেলে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পাঁশকুড়ার রাতুলিয়া বাজারের কাছে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম রওশন আলি (৭০), তাঁর স্ত্রী হায়তুন্নেসা বিবি (৬২) ও ছেলে মফিজুল রহমান (৪২)। রওশন আলি অবসরপ্রাপ্ত হাইস্কুল শিক্ষক। পেশায় ব্যবসায়ী মফিজুর গত বিধানসভা নির্বাচনে পিডিএস দলের প্রার্থী হয়েছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁশকুড়ার রাতুলিয়া এলাকার বিজাহারপুর গ্রামের বাসিন্দা মফিজুল রহমান। ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন রাতুলিয়া বাজারে মফিজুলের দোকান ও বাড়ি রয়েছে। বাবা রওশন আলি ও মা হায়তুন্নেসা বিবিকে ট্যাক্সিতে চাপিয়ে মেদিনীপুর শহরে এক চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন মফিজুল। দুপুরে সেখান থেকে বেরিয়ে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে ফের ট্যাক্সি চাপিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন । মফিজুলই ট্যাক্সি চালাচ্ছিলেন।
৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে মেদিনীপুর থেকে পাঁশকুড়ার দিকে আসার সময় দুপুর আড়াইটা নাগাদ রাতুলিয়ার বাজারের কাছে আচমকা মফিজুলের ট্যাক্সি একটি লরিকে ধাক্কা মারে। এতে ঘটনাস্থলেই মফিজুর, তাঁর বাবা রওশন আলি, মা হায়তুন্নেসার মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার পরেই লরির চালক পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে ট্যাক্সি থেকে তিনজনকে উদ্ধার করে। কিন্তু ততক্ষণে ট্যাক্সিতে থাকা তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পাঁশকুড়া থানার পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে। মৃত রওশন আলি সম্পর্কে পাঁশকুড়ার প্রাক্তন বিধায়ক প্রয়াত ওমর আলির জেঠতুতো ভাই। ওমর আলির ছেলে মুসলেম আলি বলেন, ‘‘দাদা রওশন আলির চিকিৎসার জন্য মেদিনীপুর শহরে এক চিকিৎসকের গিয়েছিলেন ছেলে মফিজুল। চিকিৎসককে দেখানোর পর ফেরার পথে বাড়ির কাছে এসেই এমন দুর্ঘটনা।’’ পুলিশ জানিয়েছে, লরিটিকে চিহ্নিত করে চালককে ধরতে তদন্ত শুরু হয়েছে।