ক্লাসঘরের বাইরে আতঙ্কিত পড়ুয়ারা। ছবি: সোহম গুহ।
ফের ভূমিকম্পের জেরে আতঙ্ক ছড়াল দুই মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকায়। ঘটল বিচ্ছিন্ন কয়েকটি দুর্ঘটনাও।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ ভূমিকম্প টের পেয়ে দোতলার ক্লাস ঘর থেকে সিঁড়ি বেয়ে নামতে গিয়ে হুড়োহুড়িতে পড়ে গিয়ে আহত হল ১৫জন ছাত্রী। সুতাহাটার লাবণ্যপ্রভা বালিকা বিদ্যালয়ের ঘটনা। আহত ছাত্রীদের উদ্ধার করে সুতাহাটার আমলাট ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে দু’জনকে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বাকি ১৩জন ছাত্রীকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর আমলাট ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ভূমিকম্পের জেরে আতঙ্ক ছড়াল কাঁথি উপকূলের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ ভূমিকম্পন টের পাওয়া মাত্র দিঘার হোটেল থেকে পর্যটকরা হুড়মুড়িয়ে বের হতে থাকেন। নিউ দিঘার একটি হোটেলের ম্যানেজার হরিদাস মিত্রের কথায়, ‘‘হোটেলের অফিসে চেয়ারে বসে ছিলাম। হঠাৎ চেয়ারটা নড়তে শুরু করল। তখনই দেখি হোটেলের সকলে দৌড়ে নিচে নামছে।’’ হোটেলে ঢোকার মুখে বসেছিলেন বারাসাত থেকে দিঘায় বেড়াতে আসা পযর্টক দম্পতি কৌশিক ও পম্পা মিত্র। কৌশিকবাবুর কথায়, “ঘরের পাখগুলো কাঁপছিল। ভূমিকম্প হচ্ছে বুঝতে পেরেই দ্রুত হোটেলের বাইরে বেরিয়ে আসি।’’ দিঘার জগদীশপুরে দেবেন্দ্রলাল জগবন্ধু হাইস্কুলে ক্লাস চলার ভূমিকম্প টের পেতেই ছাত্রছাত্রী থেকে শিক্ষক শিক্ষিকারা সকলেই ক্লাস ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন। ভূকম্পন টের পাওয়া গেছে শঙ্করপুর, মন্দারমণি, কাঁথিতেও।
ভূমিকম্পের জেরে ঘাটালের একাধিক স্কুলে ফাটল দেখা দিয়েছে। আতঙ্কের জেরে এ দিন বহু স্কুলে ছুটিও দিয়ে দেওয়া হয়। একই ভাবে দাসপুরের চাঁইপাট হাইস্কুলেও ছাদে ফাটল ধরেছে। ঘাটাল বিদ্যাসাগর হাইস্কুলের টিচার ইন চার্জ প্রবীর হোড় এবং চাঁইপাট স্কুলের প্রধান শিক্ষক অরুণ পালের কথায়, ‘‘ভূমিকম্প হচ্ছে বুঝতে পেরেই পড়ুয়াদের ক্লাস থেকে সরিয়ে দিই।’’