ফুটপাথে মরণ ফাঁদ, আঁধার সেতু

পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং ও পূর্ব মেদিনীপুরে পটাশপুরের মাঝে কেলেঘাই নদীর ওপরে রয়েছে এই দেহাটি সেতু। ৩৫ বছর আগে এই সেতু নির্মাণের পর বেশ কয়েকবার সংস্কারও হয়েছে। বছর কয়েক সংস্কার না হওয়ায় সেতুর হাল ক্রমে খারাপ হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০১৭ ০০:৪২
Share:

বেহাল: এমনই সেতু। নিজস্ব চিত্র

দুই জেলার সংযোগকারী সেতুর জীর্ণ দশা। প্রাণ হাতে নিয়েই ৩৫ বছরের পুরনো বেহাল সবংয়ের দশগ্রামের দেহাটি সেতু দিয়ে যাতায়াত করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কেলেঘাই নদীর উপরে থাকা এই সেতুর সংস্কার নিয়ে প্রশাসনেরও হেলদোল নেই বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

Advertisement

পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং ও পূর্ব মেদিনীপুরে পটাশপুরের মাঝে কেলেঘাই নদীর ওপরে রয়েছে এই দেহাটি সেতু। ৩৫ বছর আগে এই সেতু নির্মাণের পর বেশ কয়েকবার সংস্কারও হয়েছে। বছর কয়েক সংস্কার না হওয়ায় সেতুর হাল ক্রমে খারাপ হয়েছে। এই সেতু দিয়ে পটাশপুর হয়ে সহজেই এগরা, কাঁথি পৌঁছনো যায়। ফলে পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে অনেক বাস, ট্রেকার এই সেতু দিয়ে যাতায়াত করে। পূর্ব মেদিনীপুরের বহু মানুষও এই সেতু দিয়ে সবং হয়ে বালিচকে ট্রেন ধরতে আসেন।

দুই জেলার সংযোগকারী এই গুরুত্বপূর্ণ সেতুর বেহাল দশা দেখে ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা। সেতুর দু’ধারের ফুটপাথের বিভিন্ন অংশে কালভার্টের কংক্রিট ভেঙে গিয়েছে। নেই পথবাতিও। রাতের অন্ধকারে সেতুর ফুটপাথ দিয়ে হাঁটার সময়ে প্রায়ই বিপদে পড়েন পথচারীরা। স্থানীয়দের অভিযোগ, কংক্রিটের কালভার্ট ভেঙে গেলে তা তুলে নিয়ে অনেকে বাড়ির ইমারতি কাজে লাগিয়ে দেওয়ায় বিপত্তি আরও বেড়েছে।

Advertisement

পটাশপুরের অযোধ্যাপুরের বাসিন্দা সঙ্গীত শিক্ষক বানেশ্বর প্রধানের অভিযোগ, “পেশার তাগিদে প্রায় প্রতিদিন আমাকে এই সেতু দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। দীর্ঘদিনের পুরনো এই সেতু সংস্কারের অভাবে বেহাল। তার ওপরে ফুটপাথেও গর্ত হয়ে যাওয়ায় বিপদ বাড়ছে। রাস্তা দিয়ে হেঁটে গেলেও দুর্ঘটনার মুখে পড়তে হচ্ছে।” স্থানীয় স্কুল শিক্ষক অশোককুমার মান্নাও বলছেন, “যে ভাবে ফুটপাথের কালভার্টের কংক্রিট ভেঙে গিয়েছে তাতে রাতের অন্ধকারে যে কেউ বড় বিপদে পড়তে পারেন। এই সেতুর সংস্কার প্রয়োজন।”

সেতু সংস্কারে প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। সবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অমল পণ্ডা বলেন, “সেতু সংস্কারের জন্য নানা জায়গায় চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেচ না পূর্ত দফতর কারা এই সেতুর সংস্কার করবে তা নিয়ে টানাপড়েন রয়েই গিয়েছে। এতেই সমস্যা হচ্ছে। আমরা আবারও ওই সেতু সংস্কারে উদ্যোগী হব।”

সেতু নিয়ে স্থানীয়দের থেকে কোনও লিখিত অভিযোগ মেলেনি বলেই দায় সারছে সেচ দফতর। জেলা সেচ কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ বলছেন, “স্থানীয়দের পক্ষ থেকে এখনও কোনও অভিযোগ আসেনি। তবে আমরা খোঁজ নিয়ে দেখব। প্রয়োজনে নিশ্চয় সেতু মেরামত করে দেব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন