শহরে এখনও কোনও স্টেডিয়াম নেই।—প্রতীকী চিত্র।
পাঁশকুড়া শহরের তিলন্দপুরের সুকুমার দোলাই। হতদরিদ্র পরিবারের বছর কুড়ির সুকুমারের নেশা ফুটবল খেলা। বাড়ির কাছে পিডব্লিডি ময়দানে প্র্যাকটিস তাকে সুযোগ করে দিয়েছে কলকাতার ফার্স্ট ডিভিশনের ক্লাব তালতলা একতা সংঘে। শুধু সুকুমার নয়, পাঁশকুড়ার এই মাঠে অনুশীলন করেই এ বছর কলকাতার ওই ক্লাবে সুযোগ পেয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার অভীক ধাড়া, প্রতাপ সরেন, বিশ্বনাথ মুর্মুরা। ১৬ বছরের নবীন সরেন এবছর খেলবে বাংলার সাব-জুনিয়র ফুটবলে।
তবে এতজন ফুটবলার উঠে এলেও এলাকায় কোনও স্টেডিয়াম না থাকায় ক্ষোভ রয়েছে এখানকার ফুটবলার ও ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে। তাঁদের অভিযোগ, এলাকায় খেলার মাঠ থাকলেও ভাল স্টেডিয়াম নেই। পাঁশকুড়া শহরে পিডব্লুডি ময়দান ছাড়াও ব্রাডলি বারট হাইস্কুল ময়দান ও নারায়ণদিঘি ফুটবল ময়দানের মতো একাধিক খেলার মাঠ রয়েছে। কিন্তু শহরে এখনও কোনও স্টেডিয়াম নেই। ফলে শুধু ফুটবল নয়, অন্যান্য খেলাধূলার অনুশীলনেও সমস্যা হচ্ছে। শহরবাসীর দাবি, ফুটবল সহ টেবল টেনিস, ব্যাডমিন্টন, যোগ-ব্যায়াম চর্চার জন্য স্টেডিয়াম সহ আধুনিক স্পোর্টস কমপ্লেক্স গড়ে তোলা হোক। স্টেডিয়াম যে দরকার তা স্বীকার করেছেন পাঁশকুড়ার পুরপ্রধান জাকিউর রহমান। তিনি বলেন, ‘‘খেলোয়াড়দের অনুশীলন সহ বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার জন্য স্টেডিয়াম তৈরির পরিকল্পনা হয়েছে। পাঁশকুড়া ব্রাডলি বারট হাইস্কুলের খেলার মাঠে ওই স্টেডিয়াম গড়ার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।’’
পিডব্লিঊডি ময়দানে প্রতি রবিবার সকালে ফুটবল প্রশিক্ষণ দেন লক্ষ্মণ দাস। এক সময় খিদিরপুর ক্লাব দলের হয়ে খেলা লক্ষ্মণবাবু জেলার অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবল দলের কোচও। পাঁশকুড়া ট্রেনিং সেন্টার ক্লাবের সম্পাদক লক্ষ্মণবাবুর উদ্যোগে অতীতে এখানে ফুটবল প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানে এসেছেন শ্যাম থামা, জামশিদ নাসিরি, মইদুল ইসলাম, জহর দাস, অসীম বিশ্বাসের মতো নামী ফুটবলাররা।
লক্ষ্মণবাবু বলেন, ‘‘এখানে ফুটবল প্রশিক্ষণ নিতে আসা ছেলেমেয়েদের বেশিরভাগই গরিব পরিবারের। প্রশিক্ষণ নিয়ে এখানকার অনেকে কলকাতা ময়দানে খেলার সুযোগ পেয়েছে। আমরা চাই সেই সুযোগ আরও বাড়ুক। আর তাই একটা স্টেডিয়ামের খুবই প্রয়োজন।’’