রাজ্য টাকা দিলেই হবে উড়ালপুল

উড়ালপুলের অভাবে নিত্যদিন আটকে যায় পাঁশকুড়া শহরের গতি। পাঁশকুড়া স্টেশন সংলগ্ন লেভেল ক্রসিংয়ে দীর্ঘ সময় ধরে গেট পড়ে থাকার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সমস্যার সমাধানে বহু বছর ধরে ওই জায়গায় উড়ালপুলের দাবি জানিয়ে আসছেন শহরবাসী। কিন্তু রেল ও রাজ্যের টানাপড়েনে তা আটকে রয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। তবে এবার পাঁশকুড়ায় উড়ালপুল নির্মাণে রাজ্যের কোর্টেই বল ঠেলে দিল রেল। একই সঙ্গে এ বার থেকে ১৩০কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলবে পাঁশকুড়া-খড়্গপুর শাখায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পাঁশকুড়া ও খড়গপুর শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০১৯ ০৪:২১
Share:

তমলুক স্টেশনের ভোল বদলের ছবি দেখছেন রেলকর্তা। নিজস্ব চিত্র

উড়ালপুলের অভাবে নিত্যদিন আটকে যায় পাঁশকুড়া শহরের গতি। পাঁশকুড়া স্টেশন সংলগ্ন লেভেল ক্রসিংয়ে দীর্ঘ সময় ধরে গেট পড়ে থাকার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সমস্যার সমাধানে বহু বছর ধরে ওই জায়গায় উড়ালপুলের দাবি জানিয়ে আসছেন শহরবাসী। কিন্তু রেল ও রাজ্যের টানাপড়েনে তা আটকে রয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। তবে এবার পাঁশকুড়ায় উড়ালপুল নির্মাণে রাজ্যের কোর্টেই বল ঠেলে দিল রেল। একই সঙ্গে এ বার থেকে ১৩০কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলবে পাঁশকুড়া-খড়্গপুর শাখায়। মঙ্গলবার খড়্গপুর রেল ডিভিশনে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার পূর্ণেন্দুশেখর মিশ্রের পরিদর্শনের সময় তাঁর বিশেষ ট্রেনটি ১৩০ কিলোমিটার বেগে পরীক্ষামূলকভাবে পাঁশকুড়া থেকে খড়্গপুর পর্যন্ত চালানো হয়।

Advertisement

এদিন দিঘা, তমলুক স্টেশন পরিদর্শনের পর পাঁশকুড়া স্টেশনে আসেন দক্ষিণ পূর্ব রেলের শাখার জেনারেল ম্যানেজার পিএস মিশ্র। পাঁশকুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান নন্দ কুমার মিশ্র এ দিন তাঁর সঙ্গে দেখা করে উড়ালপুল নির্মাণের আবেদন জানান। চেয়ারম্যানের আবেদনের উত্তরে পি এস মিশ্র বলেন, ‘‘রাজ্য ৫০ শতাংশ টাকা দিলেই রেল উড়ালপুল বানিয়ে দেবে।’’ উড়ালপুল নির্মাণের জমি নিয়ে কোনও জট নেই বলে জানান নন্দবাবু। তিনি বলেন,‘‘পাঁশকুড়ায় উড়ালপুল নির্মাণের জন্য শীঘ্রই পূর্ত দফতরের সঙ্গে কথা বলব।’’

তমলুক শহরেও দুটি উড়ালপুল নির্মাণের জন্য পি এস মিশ্রের কাছে এদিন আবেদন জানান পুর নাগরিক সমিতি ও বিধায়ক অশোক দিন্দা। পাঁশকুড়া স্টেশনে ভাল কাজের জন্য ট্র্যাক মেশিন অপারেটর এবং ইউএসএফডি-কে ১০ হাজার টাকা করে ও ট্র্যাকম্যানদের ১৫ হাজার টাকা দিয়ে পুরষ্কৃত করেন জেনারেল ম্যানেজার। তমলুক স্টেশনের প্রায় প্রত্যেকটি দপ্তরকেই এদিন ভাল কাজের জন্য পুরস্কৃত করেন তিনি। পাঁশকুড়ায় এ দিন নতুন পার্সেল অফিসের উদ্বোধন করেন তিনি।

Advertisement

রেল সূত্রে জানা গিয়েছে এতদিন হাওড়া-খড়্গপুর শাখায় ১১০ কিলোমিটার বেগে চলাচল করত ট্রেন। এ বার ১৩০কিলোমিটার বেগে ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। জেনারেল ম্যানেজারের উপস্থিতিতে পরীক্ষামূলক এই সফল যাত্রার পরে বিজ্ঞপ্তি জারি করে ট্রেন চালানো হবে বলে জানান খড়্গপুর ডিভিশনের জনসংযোগ আধিকারিক কুলদীপ তিওয়ারি। খড়্গপুরে এ দিন ১০০ ফুট উচ্চতার জাতীয় পতাকা স্তম্ভ, দামোদর বিশ্রামাগার, সেরসা স্টেডিয়ামে জিম, মন্দাকিনি বিশ্রামাগার, অন্নপূর্ণা ক্যান্টিন, নবরূপে সজ্জিত বুকিং কাউন্টার-সহ একাধিক পরিকাঠামোর উদ্বোধন করেন পূর্ণেন্দুবাবু। রেলের পরামর্শদাতা কমিটির সদস্য সঞ্জয় হাজরা গোমো প্যাসেঞ্জার ও পুরুলিয়া এক্সপ্রেসে কামরার সংখ্যা বৃদ্ধির দাবিপত্র তুলে দেন তাঁর হাতে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন