দাঁতন

সোনার দোকানে লুঠ, পিছু নিয়ে ৩ ডাকাত ধরল পুলিশ

ক্রেতা সেজে সোনার দোকানে ঢুকে বেশ কয়েক লক্ষ টাকার গয়না নিয়ে পালানোর সময় ধরা পড়ে গেল তিন দুষ্কৃতী। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দাঁতনের সোনাকনিয়াতে। তবে চুরি যাওয়া সব গয়নাই উদ্ধার হয়েছে। পাশাপাশি দুষ্কৃতীদের কাছে মিলেছে ৩টি দেশি পিস্তল, ৩ রাউন্ড গুলি, একটি ভোজালি, ৩টি মোবাইল ও দু’টি মোটরবাইক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৬ ০২:২৬
Share:

উদ্ধার হওয়া গয়না ও অস্ত্র দেখাচ্ছেন পুলিশ সুপার। নিজস্ব চিত্র।

ক্রেতা সেজে সোনার দোকানে ঢুকে বেশ কয়েক লক্ষ টাকার গয়না নিয়ে পালানোর সময় ধরা পড়ে গেল তিন দুষ্কৃতী। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দাঁতনের সোনাকনিয়াতে। তবে চুরি যাওয়া সব গয়নাই উদ্ধার হয়েছে। পাশাপাশি দুষ্কৃতীদের কাছে মিলেছে ৩টি দেশি পিস্তল, ৩ রাউন্ড গুলি, একটি ভোজালি, ৩টি মোবাইল ও দু’টি মোটরবাইক। পালানোর সময় দুষ্কৃতীরা পুলিশকে লক্ষ করে এক রাউন্ড গুলিও চালায়। গুলির খোল উদ্ধার করেছে পুলিশ।

Advertisement

কয়েকমাস আগেই গড়বেতার একটি সোনার দোকানের ভেতরে মালিককে খুন করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনার রহস্যভেদে বেশ কিছুদিন সময় লেগেছিল পুলিশের। তবে দাঁতনের ডাকাতিতে হাতেহাতেই ধরা পড়েছে দৃষ্কৃতীরা। পুলিশ সুত্রে খবর। ধৃত তিন দুষ্কৃতী আলকেচ মোল্লা, সফিকুল মোল্লা ও তায়েক মোল্লার বাড়ি উত্তর চব্বিশ পরগনার সন্দেশখালি থানা এলাকায়। গড়বেতা বাঁকুড়া জেলার সীমানায়। আর দাঁতনের সোনাকনিয়া হল ঘটল ওড়িশা সীমানায়। দু’টি ক্ষেত্রেই দুষ্কৃতীরা ভিন রাজ্য ও অথবা অন্য জেলার। যা থেকে পুলিশের অনুমান, দুষ্কৃতীরা ‘অপারেশন’-এর জন্য সীমানাবর্তী এলাকাই বেছে নিচ্ছে। শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষও বলেন, “বিগত তিন বছরের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে বাইরের থেকে দুষ্কৃতীরা এসে ডাকাতির চেষ্টা করছে।” তা রুখতে শহরের পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় ও মোড়ে সিসিটিভি লাগানোর পরিকল্পনা নিচ্ছে পুলিশ। জোরদার করা হচ্ছে নাকা।

সোনাকনিয়ার ঘটনাটি ঠিক কী?

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ যখন সোনার ব্যবসায়ী শশাঙ্ক রানা দোকান বন্ধ করে বাড়ি যাচ্ছিলেন, তখনই ক্রেতা সেজে ৬ জন দুষ্কৃতী দু’টি মোটর বাইকে হাজির হয়। ফের দোকান খুলে সোনার গয়না দেখানোর সময়ই আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে দুষ্কৃতীরা লুঠপাট চালায়। ঘটনার কথা দাঁতন থানায় জানান দোকান মালিক। শুরু হয় তল্লাশি। শেষে বেলদার সালাজপুরের কাছে দুষ্কৃতীদের নাগাল পায় পুলিশ। দুষ্কৃতীদের ঘিরে ফেলতেই তারা পুলিশকে লক্ষ করে গুলি চালায়। তবে নাকার দায়িত্বে থাকা অফিসার প্রদ্যোত বন্দ্যোপাধ্যায় পিছু নিয়ে মোটরবাইকে থাকা তিন দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলেন। অন্য দুষ্কৃতীরা মনোহরপুরের কাছে মোটরবাইক ফেলে পালিয়ে যায়। পুলিশ সুপার জানান, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পলাতকদের সম্পর্কেও তথ্য মিলেছে। শীঘ্রই তাদের গ্রেফতার করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন