রমেশচন্দ্র মণ্ডল। নিজস্ব চিত্র
চলতি মাসেই ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন ‘বাই’। বুধবার এক বন্ধু এসেছিলেন বাড়িতে। গল্পগুজব করে ফিরে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই ওই বন্ধুকে ফোন করেছিলেন চন্দ্রকোনা থানার কাশন্দ প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক রমেশচন্দ্র মণ্ডল (২৮)। বন্ধুকে ফোনে শুধু বলেছিলেন ‘বিদায়।’ সন্দেহ হওয়ায় ফিরে আসেন ওই বন্ধু। তিনি দেখেন, সিলিং ফ্যানে গলায় গামছার ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছেন রমেশবাবু।
পুলিশ জানিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার চণ্ডীপুর থানার কুলবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা রমেশচন্দ্রবাবু ক্ষীরপাই শহরের বামারিয়ায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। সেখানে গৃহশিক্ষকতা করতেন তিনি। স্থানীয় সূত্রের খবর, পদার্থবিদ্যার শিক্ষক হিসাবে খুব কম সময়ের মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন রমেশচন্দ্রবাবু। কয়েকদিন আগে তিনি দাদার চিকিৎসার জন্য কলকাতা গিয়েছিলেন। দু’দিন সেখানেই ছিলেন। চলতি মাসেই রমেশবাবু ফেসবুকে দু’টি পোস্ট করেছিলেন— ‘বাই’, ‘সময় যখন থমকে দাঁড়ায়’। ফেসবুক পেজে কেন রমেশবাবু ওই সব কথা পোস্ট করেছিলেন তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বুধবারও সাড়ে সাতটা পযর্ন্ত তিনি টিউশনি পড়িয়ে ছিলেন। সেইসময় গল্প করতে গিয়েছিলেন ওই বন্ধু। রমেশচন্দ্রবাবুকে ক্ষীরপাই গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। ঘাটালে ময়নাতদন্তের পর রমেশবাবুর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছেন শিক্ষক।