যুবতীর ঝুলন্ত দেহ, মার খেলেন শ্বশুর-শাশুড়ি

শ্বাসরোধ করে খুনের পর রঞ্জনাকে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগে এলাকার বাসিন্দারা মৃতার শ্বশুরবাড়িতে চড়াও হয়। মৃতার শ্বশুর-শাশুড়িকে আটকে রেখে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। ঘটনার আগেই মৃতার স্বামী ও এক ননদ  বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০১৭ ০১:০৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

শ্বশুরবাড়ি থেকে মহিলার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। সোমবার সকালে তমলুক শহরের উত্তরচড়া শঙ্করআড়া এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম রঞ্জনা অধিকারী (২৪)। শ্বাসরোধ করে খুনের পর রঞ্জনাকে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগে এলাকার বাসিন্দারা মৃতার শ্বশুরবাড়িতে চড়াও হয়। মৃতার শ্বশুর-শাশুড়িকে আটকে রেখে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ।

Advertisement

ঘটনার আগেই মৃতার স্বামী ও এক ননদ বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তমলুক শহরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তরচড়া শঙ্করআড়ার ষোলফুকার গেট এলাকার বাসিন্দা বিশ্বজিতের সঙ্গে প্রেম করেই বিয়ে হয় নন্দকুমারের ব্যবত্তারহাট এলাকার আলাশুলি গ্রামের মেয়ে রঞ্জনার। তাঁদের পাঁচ বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। পেশায় সোনার কারিগর বিশ্বজিৎ স্ত্রী, মেয়ে, বাবা-মা ও এক বোনের সঙ্গে একই বাড়িতে থাকত।

Advertisement

অভিযোগ, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই পণের দাবি জানিয়ে স্বামী-সহ শশুরবাড়ির লোকেরা রঞ্জনার উপর অত্যাচার করত। এ নিয়ে পরিবারে অশান্তিও চলত। এর জেরে মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে যান রঞ্জনা। দিনকয়েক আগে বিশ্বজিৎ ফের স্ত্রীকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনে। অন্য দিনের মতো সোমবার সকালে রঞ্জনা বাড়ি থেকে বের না হওয়ায় প্রতিবেশীরা বাড়ির অন্যদের জিজ্ঞাসা করেন। কিন্তু তাঁরা জানায়, রঞ্জনা তখনও ঘুমাচ্ছে। সন্দেহ হওয়ায় প্রতিবেশীরা খোঁজ নিতে গিয়ে একতলার একটি ঘরে গলায় শাড়ির ফাঁস লাগানো অবস্থায় রঞ্জনার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান।

অভিযোগ, ঘটনার কথা জানাজানি হতেই মৃতার স্বামী ও এক ননদ পালিয়ে যায়।

ক্ষুদ্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা মৃতার শ্বশুর উত্তম অধিকারী ও শাশুড়ি ঝর্ণা অধিকারীকে আটকে রেখে মারধর করে। ঘটনার খবর পেয়ে তমলুক থানার পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে। মৃতার শ্বশুর, শাশুড়িকেও আটক করেছে পুলিশ।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, রঞ্জনার মেয়ে তাঁদের জানিয়েছে, বাবা, পিসি ও ঠাকুমা মিলে তার মাকে গলা টিপে মেরেছে।

এরপর তারা গলায় শাড়ির ফাঁস দিয়ে পাখার সঙ্গে মৃতদেহ ঝুলিয়ে দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার খুনের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই শিশু কন্যার বয়ানও নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন