বছরের প্রথম দিন দিঘায় পিকনিকের ভিড়। ইনসেটে, উদ্ধারের পর মায়ের কোলে শিশু। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র
চেনা ছবি দিঘায়। আশানুরূপ ভিড় দেখা গেল বছরের প্রথম দিনে। পর্যটকদেরই একাংশের দাবি, এই ভিড় ছাড়িয়েছে বড়দিনকেও। সেই ভিড়কে সামাল দিল নুলিয়া থেকে পুলিশ প্রশাসন।
পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন পর্যটকদের ব্যাপক ভিড়ে ওল্ড এবং নিউ দিঘায় মোট চারজন শিশু হারিয়ে গিয়েছে বলে তাদের কাছে খবর আসে। তাদের মধ্যে ছিল ঝাড়খণ্ডের বছর ছয়ের নিশান্ত সিংহ। বাবা-মায়ের এবং ৭০ জনের একটি পিকনিক দলের সঙ্গে সে দিঘায় এসেছিল। সকলেই নিউ দিঘার পুলিশ হলিডে হোম ময়দানে পিকনিকে মেতে ছিলেন। দাবি, সেই ফাঁকে সমুদ্র দেখার জন্য নিশান্ত সৈকতের দিকে চলে যায়।
ছেলের খোঁজ না পেয়ে নিশান্তের মা-বাবা চিন্তিত হয়ে পড়েন। পুলিশের কাছে খবর আসে। পুলিশ, নুলিয়া ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী দিঘাতে তল্লাশি চালায়। কয়েক ঘণ্টার তল্লাশিতে নিশান্তকে পাওয়া যায়। তারপর নিউ দিঘার পুলিশ সহায়তা কেন্দ্রে নিশান্তকে তার বাবা উপেন্দ্রকুমার সিংহের হাতে তুলে দেয় পুলিশ। একই ভাবে বাকি হারিয়ে যাওয়া শিশুদেরও এ দিন খুঁজে তাদের পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে দিঘা পুলিশ।
পর্যটকদের নিরাপত্তার পাশাপাশি বড়দিনের মতো এ দিনও দিঘার সৈকতে দূষণ নিয়ন্ত্রণে যত্রতত্র পিকনিকে নিষেধাজ্ঞা ছিল। নিউ দিঘার পুলিশ হলিডে হোম ময়দান, মেরিনা ঘাট, জগন্নাথ ঘাট সংলগ্ন ঝাউ জঙ্গল এবং লারিকার বিপরীত দিকের ঝাউ জঙ্গলে পর্যটকদের জন্য পিকনিকের অনুমোদন দেয় পুলিশ। সেখানে দেখা গিয়েছে পিকনিক করতে আসা মানুষের ঢল। যানজট নিয়ন্ত্রণে দিঘায় ছিল ‘ওয়ান ওয়ে’ ট্রাফিক ব্যবস্থা। সমস্ত যানবাহন দিঘা বাইপাস দিয়ে প্রবেশ করে ওল্ড দিঘা দিয়ে বেরিয়ে যায়।
কোস্টাল থানার পুলিশ স্পিড বোটে ওল্ড দিঘা থেকে নিউ দিঘা পর্যন্ত টহল দেয়। জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন, “দিঘা জুড়ে যে সমস্ত সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছিল, তার মাধ্যমে নজরদারি চালায় পুলিশ। ওয়াচ টাওয়ার থেকেও এদিন বিশেষ নজরদারি চালানো হয়। এর ফলে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো গিয়েছে।’’