Coronavirus

নির্দেশিকা মানা হচ্ছে তো! পরিদর্শনে পুলিশ

সংক্রমণ রুখতে বড় বড় মণ্ডপ গুলিতে স্যানিটাইজার টানেল, মাস্ক মজুতের ব্যবস্থা রেখেছেন অনেকেই। বন্ধ রাখা হচ্ছে মেলাও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২০ ০৫:৩২
Share:

ঘাটালের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে একটি মণ্ডপ ঘুরে দেখছেন পুলিশ আধিকারিকেরা। নিজস্ব চিত্র

করোনা বিধি মেনে যাতে পুজো হয়,তা নিশ্চিত করতে এবার ঘাটাল শহর সহ মহকুমার মণ্ডপগুলিতে পরিদর্শন শুরু করেছে পুলিশ। উদ্যোক্তাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে পুলিশ জানিয়ে দিচ্ছে, পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করতে হবে। মণ্ডপ চত্ত্বরে যাতে ভিড় না হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে উদ্যোক্তাদের।

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে পুজোর আট দিন আগেই ঢাকে কাঠি পড়েছে ঘাটালে। বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে ঘাটাল শহরের এক পুজো মণ্ডপের উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই দিন থেকেই ঘাটাল কলেজ রোড লাগোয়া ন্যাশনাল বয়েজ ক্লাব পরিচালনায় যুব ক্রীড়া সংস্থার পুজো মণ্ডপ দর্শকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে ঘাটাল শহর মহকুমার অধিকাংশ মণ্ডপ এখনও তৈরি হয়নি। শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত উদ্যোক্তারা।

পুলিশ সূত্রের খবর, ঘাটাল ব্লকে ১১৫টি, দাসপুরে ১৫২টি এবং চন্দ্রকোনায় ৮১টি দুর্গা পুজো হবে। কোথাও থিম পুজো তেমন হচ্ছে না। কিন্তু পুজোর ক’দিন মণ্ডপগুলিতে ভিড় হবে ধরে নিয়েই সতর্ক সংশ্লিষ্ট সকলেই। পুজোর সময় ঘাটাল শহর সহ মহকুমায় বিক্ষিপ্ত ভাবে একাধিক পুজো প্রাঙ্গনে মেলা বসে। সেখানে প্রচুর মানুষের ভিড় হয়। রাত পর্যন্ত মেলা প্রাঙ্গনে দর্শনার্থীরা ঘুরে বেড়ান। উদ্যোক্তারাই মেলার আয়োজন করেন। তা ছাড়া খাবার দোকান সহ অন্য দোকান স্টলও বসে। ঘাটাল শহর সহ দাসপুর ও চন্দ্রকোনার সব জায়গাতেই মেলা বসে। তবে এবার তেমনটা হচ্ছে না। প্রস্তুতি দেখতে মণ্ডপে মণ্ডপে পরিদর্শনে বেরিয়ে পুজো কমিটি গুলিকে শেষবারের মতো মেলা নিয়ে ফের সতর্ক করে দিচ্ছে পুলিশ। নির্দেশিকা মেনে তিন পাশ খোলা থাকছে কিনা, অঞ্জলি, ভোগ বিতরণে কী পদক্ষেপ নিয়েছে, সমস্ত বিষয়ে খোঁজ খবর রাখছে পুলিশ। দেওয়া হচ্ছে নানা পরামর্শ। মণ্ডপ গুলিতে সরকারি নির্দেশিকার বাইরে ত্রুটি ধরা পড়লেই উদ্যেক্তাদের নজরে আনছে পুলিশ।

Advertisement

করোনা-কালে অবশ্য সতর্ক উদ্যোক্তারাও। সংক্রমণ রুখতে বড় বড় মণ্ডপ গুলিতে স্যানিটাইজার টানেল, মাস্ক মজুতের ব্যবস্থা রেখেছেন অনেকেই। বন্ধ রাখা হচ্ছে মেলাও। দাসপুরের এক পুজো কমিটির কর্তার কথায়, “মেলা থেকে ভাল আয় হতো।সেই টাকায় পুজোতেই খরচ করা হতো।এবার মেলা হচ্ছে না।” ঘাটাল মহকুমা পুলিশ অফিসার অগ্নিশ্বর চৌধুরী বলেন, “অনুমতি দেওয়ার আগে সরকারের নির্দেশিকা সমন্ধে উদ্যোক্তাদের অবগত করা হয়েছিল। মণ্ডপ চত্ত্বরে কোথাও ভিড় করা যাবে না।বসানো যাবে না মেলাও। মহকুমার সমস্ত মণ্ডপে এখন পরিদর্শন করা হচ্ছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement