হুক করলে গ্রেফতার, দাওয়াই বিদ্যুৎমন্ত্রীর

হুকিংয়ের ফলে ক্ষতি হচ্ছে রাজস্বের। তাই হুকিং আটকাতে এ বার গ্রেফতার করা হবে। সোমবার মেদিনীপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিয়ে এমনই ইঙ্গিত দিলেন বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘আমরা এখনও পর্যন্ত খুব একটা গ্রেফতারের দিকে যাইনি। কিন্তু দরকার পড়লে যেতে হবে।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০১৮ ০০:৫৬
Share:

বক্তা: মেদিনীপুরে শোভনদেব

হুকিংয়ের ফলে ক্ষতি হচ্ছে রাজস্বের। তাই হুকিং আটকাতে এ বার গ্রেফতার করা হবে। সোমবার মেদিনীপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিয়ে এমনই ইঙ্গিত দিলেন বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘আমরা এখনও পর্যন্ত খুব একটা গ্রেফতারের দিকে যাইনি। কিন্তু দরকার পড়লে যেতে হবে।”

Advertisement

হুকিং-সহ নানা কারণে সরকারি খাতায় ক্ষতির তালিকায় শীর্ষে রাজ্যের যে পাঁচটি জেলার নাম উঠে এসেছে তার মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুরও রয়েছে। এ দিন ঝাড়গ্রাম এবং পশ্চিম মেদিনীপুর, দুই জেলাকে নিয়ে বৈঠক হয়। দুই জেলাতেই বিদ্যুতে বিপুল রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে। পশ্চিম মেদিনীপুরে যেমন ১০০ ইউনিট বিদ্যুৎ সরবরাহ হলে মাত্র ৪৪ শতাংশ ইউনিটের বিল আদায় হয়। বাকি ৫৬ শতাংশ ইউনিটের বিল আদায় হয় না। পশ্চিম মেদিনীপুরে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে গড়ে ৫৬ শতাংশ। টাকার অঙ্কে বছরে প্রায় ২৯৭ কোটি টাকা। অন্যদিকে, ঝাড়গ্রামে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে গড়ে ৫৮ শতাংশ। টাকার অঙ্কে বছরে প্রায় ৩৭ কোটি টাকা। দ্রুত এই ক্ষতি কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, ক্রমাগত এই দিকে নজর রাখতে। দ্রুত ক্ষতি কমানোর ব্যবস্থা করতে।”

হুকিং রুখতে অভিযান যে জরুরি তা মেনেছেন সকলেই। সাংসদ মানস ভুঁইয়াকে বলতে শোনা যায়, “সবং থেকেই এই অভিযান শুরু হোক।” জেলার বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ অমূল্য মাইতিও বলেন, “যেমন করে হোক বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে ক্ষতির বহর কমিয়ে আনতে হবে। আয় বাড়াতে হবে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement