Coronavirus

আবর্জনায় পিপিই কিট, ক্ষোভ বাসিন্দাদের

পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সদর তমলুকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। এই পরিস্থিতিতে বুধবার শহরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে রূপনারায়ণ নদের তীরে পুরসভার জঞ্জাল ফেলার জায়গায় পিপিই পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২০ ০১:৪০
Share:

ছবি পিটিআই।

জঞ্জাল স্তূপে পড়ে রয়েছে পিপিই কিট (পারসোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট)। সেই ছবি ঘুরছে সমাজ মাধ্যমে। ক্ষোভও প্রকাশ করছেন এলাকাবাসী। কিন্তু পুরসভার দাবি, তাদের তরফে জঞ্জাল ফেলার জায়গায় পিপিই কিট ফেলা হয়নি!

Advertisement

পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সদর তমলুকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। এই পরিস্থিতিতে বুধবার শহরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে রূপনারায়ণ নদের তীরে পুরসভার জঞ্জাল ফেলার জায়গায় পিপিই পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। স্থানীয় সূত্রের খবর, দুপুরে নজরে আসে বিষয়টি। সঙ্গে সঙ্গেই এলাকবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তাঁরা পুরসভার স্থানীয় ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর তথা তৃণমূল নেত্রী স্নিগ্ধা মিশ্রকে ওইসব বর্জ্য সামগ্রীর ছবি তুলে পাঠান। বাসিন্দাদের ক্ষোভের জেরে স্নিগ্ধাও বিষয়টি পুরসভা কর্তৃপক্ষকে জানান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘পুরসভার ফেলা জঞ্জালের মধ্যে যেভাব পিপিই কিট ও মাস্ক পড়ে রয়েছে, তা রীতিমত উদ্বেগের বিষয়। ওই জঞ্জালের স্তূপ থেকে কিছু মানুষ বিভিন্ন প্লাস্টিকের জিনিস কুড়িয়ে তা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। ফলে জঞ্জালের মধ্যে থাকা ওই সব বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য সামগ্রী থেকে তাঁদের মধ্য দিয়ে গোটা এলাকায় করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে।’’

Advertisement

উল্লেখ্য, বর্তমানে হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলিতে পিপিই কিট ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য হিসেবে ওই সব সামগ্রী বিশেষ পদ্ধতিতে সংগ্রহ করে তা নষ্ট করার নিয়ম। তমলুক জেলা হাসপাতাল ও বিভিন্ন নার্সিংহোমের বর্জ্য সামগ্রী সংগ্রহের জন্য জেলায় একটি সংস্থা নিযুক্ত রয়েছে। ওই সংস্থার তরফে হলদিয়া থেকে গাড়ি তমলুক শহরে এসে বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। তা সত্ত্বেও পুরসভার জঞ্জাল ফেলার জায়গায় ওই সব বর্জ্য কীভাবে ফেলা হল, তা নিয়ে বাসিন্দারা ক্ষুদ্ধ। তাঁদের দাবি, যাঁরা এটা করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।

ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর স্নিগ্ধা মিশ্র বলেন, ‘‘জঞ্জালে পিপিই কিট ও মাস্ক পড়ে থাকার বিষয়ে ছবি সহ বাসিন্দারা আমাকে অভিযোগ জানিয়েছেন। এটি সত্যিই খুবই উদ্বেগের। কারণ, পুরসভার সাফাই কর্মীরা তো এসব সংগ্রহ করেন না। রাতের অন্ধকারে কেউ হয়ত এসব ফেলে গিয়েছেন। এ ব্যাপারে পুরসভার প্রশাসককে জানিয়েছি।’’

পুরসভা অবশ্য সাফ জানাচ্ছে, তারা আবর্জনার মধ্যে এ সব পিপিই কিট বা মাস্ক ফেলেনি। তমলুক পুরসভার প্রশাসক রবীন্দ্রনাথ সেন বলেন, ‘‘জঞ্জাল ফেলার জায়গায় পিপিই কিট ফেলা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগের বিষয়টি ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর আমাকে জানিয়েছেন। তবে পুরসভার জঞ্জাল বিভাগকে খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি ওখানে কোনও পিপিই কিট ফেলা হয়নি।’’

তাহলে পিপিই কিট এল কোথা থেকে? সে উত্তর অবশ্য জানা নেই কারও!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন