সঙ্কটে যোগাযোগ

নোটের প্যাঁচে প্রিপেড মোবাইল

নোট বাতিলের প্যাঁচে পড়ে বন্ধ হতে বসেছে যোগাযোগ। শিল্পশহর হলদিয়ায় মোবাইল রিচার্জ করাতে পারছেন না বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দোকানে মিলছে না রিচার্জ কুপন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০১৬ ০০:১৩
Share:

নোট বাতিলের প্যাঁচে পড়ে বন্ধ হতে বসেছে যোগাযোগ। শিল্পশহর হলদিয়ায় মোবাইল রিচার্জ করাতে পারছেন না বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দোকানে মিলছে না রিচার্জ কুপন। ইজি রিচার্জ কিম্বা নেট প্যাকও দিতে পারছেন না দোকানিরা। দোকানিরাও জানিয়েছেন, গত তিন চার দিনে কেনাবেচা কমেছে অন্তত ৫০ শতাংশ।

Advertisement

নিয়ম অনুযায়ী, খুচরো বিক্রেতারা টাকা জমা দিয়ে সার্ভিস প্রোভাইডার সংস্থার ডিস্ট্রিবিউটারদের কাছ থেকে রিচার্জ কুপন ও অন্যান্য রিচার্জ ব্যালেন্স সংগ্রহ করেন। ডিস্ট্রিবিউটাররা সরাসরি মোবাইল সংস্থাগুলির অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দেন। কিন্তু গত কয়েকদিনে নোট বদলের গেরোয় সব কাজ বন্ধ। খুচরো বিক্রেতারা গ্রাহকের কাছ থেকে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট নিতে চাইছেন না। কারণ সে টাকা ডিস্ট্রিবিউটাররা ব্যাঙ্কে টাকা জমা দিতে পারবেন না।

হলদিয়ার বাসিন্দা উৎপল মাইতি, মিহির দাস, সনাতন বেরাদের অভিযোগ, ‘‘রিচার্জ করতে গেলে দোকানদারেরা ফিরিয়ে দিচ্ছেন। ব্যালান্সও নেই। সমস্যায় পড়েছি।’’ দোকানদারদের পাল্টা দাবি, ‘‘সার্ভিস প্রোভাইডার সংস্থাগুলি থেকে রিচার্জ কুপন, ইজি ব্যালেন্স এবং নেট প্যাকের ব্যালেন্স আসছে না।’’

Advertisement

ঘাটাল শহরে একটি মোবাইলের দোকানেই রিচার্জ করেন রাজু মল্লিক। তাঁর দাবি, দিনে বিভিন্ন সংস্থার হয়ে প্রায় ২৫হাজার টাকার রিচার্জ করেন তিনি। কিন্তু গত এক সপ্তাহে সেই ব্যবসা তলানিতে নেমেছে। গড়ে দু’তিন হাজার টাকার রিচার্জ করতে পারছেন প্রতিদিন। দোকানে এসেও ফোন রিচার্জ করতে পারেননি কুশপাতা কলেজের ছাত্র শ্রীমন্ত সরখেল। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমাদের বাড়িতে সকলেরই প্রি-পেড মোবাইল। মা, বোন, আমার— কারও ব্যালান্স নেই। কী করব জানি না।’’

খড়্গপুরের ছোট ছোট দোকানগুলিতেও রিচার্জ করতে সমস্যা হচ্ছে বলে দাবি করলেন দোকানদারেরা। তবে সেখানে সমস্যা অন্য। দশ-কুড়ি টাকার রিচার্জ করতেও অনেকে ৫০০টাকার নোট নিয়ে আসছেন, সে নোট নেওয়া যাচ্ছে না। অনেকে খুচরো দিতে পারছেন না, ফলে ব্যবসা কমছে। তবে ডিস্ট্রিবিউটাররা চেকের মাধ্যমে টাকা নিচ্ছেন বলে দাবি স্থানীয় ব্যবসায়ীদের। খ়ড়্গপুরে একটি বড় মোবাইলের দোকান চালান গগন জৈন। সঙ্গে চলে রিচার্জও। তিনি বলেন, ‘‘যদি কেউ খুব বড় অঙ্কের টাকা রিচার্জ করাতে চান, তার কাছে আমরা ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড নিচ্ছি।’’ শহরের এক ছোট ব্যবসায়ী বাপি দাস বলেন, ‘‘ডিস্ট্রিবিউটারকে চেক-এ টাকা দিচ্ছি। তবে ক্রেতার কাছে খুচরো টাকাই চাইছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন