অর্ধদিবস ছুটিতেও বৈঠক, গেলেনই না প্রাথমিক শিক্ষকরা

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০১৮ ০১:৪৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর মৃত্যুতে শুক্রবার অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। যদিও এ দিনই খড়্গপুর ও খড়্গপুর পশ্চিম চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক (এসআই) বৈঠক ডাকায় বয়কট করলেন প্রাথমিক শিক্ষকেরা।

Advertisement

শিক্ষকদের দাবি, রাষ্ট্রীয় শোক থাকা সত্ত্বেও বৈঠক বাতিল করেননি এসআই। তাই বামেদের নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি ও তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকে ওই বৈঠক বয়কট করা হয়। হাতে গোনা কয়েকজন শিক্ষক বিষয়টি না বুঝেই বৈঠকে যান। তাঁদের নিয়েই বৈঠক করেন এসআই।

স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বিবেকানন্দের শিকাগোয় বক্তৃতার ১২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে সম্প্রতি একটি নির্দেশিকা জারি করে রাজ্য সরকার। সেই নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, আগামী সোমবার থেকে শুক্রবার প্রতিটি বিদ্যালয়ে ক্যুইজ, অঙ্কন, তাৎক্ষণিক বক্তৃতা-সহ নানা প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে হবে। নির্দেশ অনুযায়ী স্কুলগুলিকে ওই অনুষ্ঠানের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতেই বৈঠক ডেকেছিলেন খড়্গপুর ও খড়্গপুর পশ্চিম চক্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত এসআই। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা সত্ত্বেও বৈঠকের দিনক্ষণ বদল হয়নি। এ দিন বেলা ২টোর সময় বৈঠক হবে বলে জানিয়ে দেন এসআই। এ ভাবে রাষ্ট্রীয় শোক থাকা সত্ত্বেও কীভাবে বৈঠক হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

Advertisement

শিক্ষকদের অভিযোগ, এসআই কোনও কথা না শুনে বৈঠকের পক্ষেই সওয়াল করেন। এতেই সরব হন শিক্ষকেরা। দুই শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকেই বৈঠক বয়কট করা হয়েছে। নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জোনাল সম্পাদক সন্দীপ ঘোষ বলেন, “অন্য ছুটির দিনে এমন বৈঠক হলেও মেনে নেওয়া যেত। কিন্তু রাষ্ট্রীয় শোকের দিনে কীভাবে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক বৈঠক করবেন সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন আমাদের প্রতিনিধি অপূর্ব মজুমদার। কিন্তু অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক শোনেননি। রাষ্ট্রীয় শোককে মর্যাদা দিয়ে বৈঠক বয়কট করেছি।”

তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের খড়্গপুর চক্রের কার্যকরী সভাপতি অলোক বসু বলেন, “এ ভাবে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুতে রাজ্য সরকার অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণার পরেও কীভাবে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক বৈঠক করলেন সেটাই বড় প্রশ্ন।’’ কেন বৈঠক বয়কট করলেন? অলোকবাবুর কথায়, ‘‘আমরা বলা সত্ত্বেও তিনি কোনও কথা না শুনে কয়েকজন শিক্ষককে নিয়ে বৈঠক সেরেছেন। প্রতিবাদ জানিয়ে বৈঠক বয়কট করেছি।”

এসআই সৌম্যজিত মাইতি বলেন, “সোমবার থেকে ওই কর্মসূচি প্রতিটি স্কুলে পালন করতে হবে। সেই বিষয় আলোচনা করতেই বৈঠক ডেকেছিলাম। তার আগে আর কবে বৈঠক করব? তাই বৈঠক করেছি। যাঁরা এসেছিলেন আলোচনা হয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন