Containment zones

গণ্ডিবদ্ধ এলাকার পরিধি বৃদ্ধি, লকডাউন কার্যকর করা নিয়ে জটিলতা

আজ, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা থেকে রাজ্যের অন্য জায়গার সঙ্গেই খড়্গপুর শহরেও গণ্ডিবদ্ধ এলাকায় কড়া লকডাউন হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর ও ঘাটাল শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২০ ০০:০৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

রাজ্যের নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী বেড়েছে গণ্ডিবদ্ধ এলাকার পরিধি। কিন্তু রেলশহরে পরিধি বাড়িয়ে লকডাউন কার্যকর করা নিয়ে জটিলতা বাড়ছে। পরিস্থিতি সামলাতে গোটা শহরেই লকডাউন চাইছেন শহরবাসী।

Advertisement

আজ, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা থেকে রাজ্যের অন্য জায়গার সঙ্গেই খড়্গপুর শহরেও গণ্ডিবদ্ধ এলাকায় কড়া লকডাউন হচ্ছে। এই লকডাউন কার্যকর করা নিয়ে চিন্তায় আছে প্রশাসন। বুধবার এই নিয়ে বৈঠক হয়। সেখানে ছিলেন মহকুমাশাসক বৈভব চৌধুরি ছাড়াও ছিলেন এসডিপিও সুকোমল দাস, আইসি রাজা মুখোপাধ্যায় প্রমুখ।

রেলশহরে গত কয়েকদিনে ক্রমেই বেড়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত রেলশহরে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। বেড়েছে গণ্ডিবদ্ধ এলাকার সংখ্যা। এরপরেও মাস্ক ছাড়াই অনেকে ঘুরছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা মাস্ক ছাড়াই দলীয় কর্মসূচিতে থাকছেন। এমন পরিস্থিতিতে কড়া লকডাউনের দাবি তুলছিলেন খড়্গপুরের বাসিন্দারা। বুধবারের বৈঠক শেষে মহকুমাশাসক বৈভব চৌধুরী বলেন, “এখন যে গণ্ডিবদ্ধ এলাকাগুলি রয়েছে তার পরিধি বাড়বে। এলাকা অনুযায়ী বিবেচনা করে পরিধি বাড়াবে পুলিস। তবে অন্তত ১০০ মিটার এলাকায় গণ্ডিবদ্ধ করতেই হবে। দোকানপাট, অফিস বন্ধ থাকার পাশাপাশি কাউকে বাইরে বেরতে দেওয়া হবে না।”

Advertisement

খড়্গপুর শহরে ভবানীপুর ও পাঁচবেড়িয়ার চারটি গণ্ডিবদ্ধ এলাকা রয়েছে। শহরে সম্প্রতি কুমোরপাড়া, নিউ সেটলমেন্টে, ওল্ড সেটলমেন্টে, নিমপুরা, সাউথসাইড ও এ দিন নিউ ডেভেলপমেন্ট এলাকা গণ্ডিবদ্ধ চিহ্নিত করা হয়েছে। গণ্ডিবদ্ধ এলাকাগুলি শহরের নানা প্রান্তে রয়েছে। তাই সেই এলাকার পরিধি বাড়লে বিভিন্ন এলাকায় সড়কপথ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আবার গণ্ডিবদ্ধ এলাকার বাসিন্দারা বেরোতে না পারলে কিছু ক্ষেত্রে গণ্ডিবদ্ধ এলাকার বাইরেও অফিস-দোকান বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ সেগুলি তাঁদের উপরেই নির্ভরশীল। গণ্ডিবদ্ধ এলাকায় সঠিকভাবে নজরদারি না থাকলে সেখানকার লোকজন যেখানে বাজার খোলা সেখানে চলে যেতেই পারেন। খড়্গপুরের মহকুমাশাসক বলেন, “ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা গণ্ডিবদ্ধ এলাকায় লকডাউন করা একটু কঠিন। এসডিপিও জেলা থেকে পুলিশবাহিনী চেয়েছেন। গণ্ডিবদ্ধ এলাকার বাইরেও কড়া পদক্ষেপের পরিকল্পনা চলছে।”

ঘাটালে কুশপাতা-সহ কনটেনমেন্ট জ়োনগুলিতে কড়া নজরদারি চলবে। বুধবার থেকেই ঘাটাল মহকুমা পুলিশ-প্রশাসন ঘাটাল-দাসপুরের গণ্ডিবদ্ধ এলাকায় গিয়ে সরকারি নির্দেশের কথা জানায়। ঘরমুখী পরিযায়ী শ্রমিকদের সূত্রে ঘাটাল-দাসপুরে এক সময়ে হু হু করে বেড়েছিল আক্রান্তের সংখ্যা। তবে সম্প্রতি সেখানে সংক্রমণের রাশ অনেকটাই কমেছে। এরপরেই কমেছে সচেতনতা। সেই দিকে নজর রেখে ঘাটালের এসডিপিও অগ্নীশ্বর চৌধুরী বলেন, “মাস্ক না পরলেই ধরা হচ্ছে। ধারাবাহিক অভিযান চলবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন