স্কুলে তালাবন্দি শিক্ষক, উপপ্রধান

ব্যবস্থার আশ্বাসে উঠল বিক্ষোভ

রবিবার বিদ্যালয় এর ছাদের বিম ভেঙে পড়েছিল। কোনওরকমে বেঁচে গিয়েছিলেন শিক্ষক থেকে ভোটের কাজের আসা লোকজন। তার জেরে সোমবার কাঁথি ৩ ব্লকের যশাবিষা গিরিশচন্দ্র প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এসে স্থানীয় বাসিন্দা ও অভিভাবকদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিদ্যালয়ের তিন  শিক্ষক ও এক শিক্ষিকা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাঁথি শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০০:৪২
Share:

বিক্ষোভ তুলতে অনুরোধ পুলিশের। নিজস্ব চিত্র

রবিবার বিদ্যালয় এর ছাদের বিম ভেঙে পড়েছিল। কোনওরকমে বেঁচে গিয়েছিলেন শিক্ষক থেকে ভোটের কাজের আসা লোকজন। তার জেরে সোমবার কাঁথি ৩ ব্লকের যশাবিষা গিরিশচন্দ্র প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এসে স্থানীয় বাসিন্দা ও অভিভাবকদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিদ্যালয়ের তিন শিক্ষক ও এক শিক্ষিকা। বিক্ষোভকারীরা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিদ্যালয়ে ঢুকিয়ে তালা লাগিয়ে দেন।

Advertisement

রবিবার বিদ্যালয়ে ভোটার তালিকা ও ভোটার কার্ড সংশোধনীর কাজ চসার সময় ছাদের বিম ভেঙে পড়েছিল। খসে পড়েছিল সিমেন্টের চাঙর। ঘটনার পর ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা ও অবিলম্বে বিদ্যালয় সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন গ্রামবাসী ও অভিভাবকেরা। তার জের চলে সোমবারও। অভিভাবকদের বিক্ষোভের জেরে এ বিদ্যালয়ে পঠনপাঠন হয়নি।

এদিন বিক্ষোভকারীরা দাবি করেন, এই ভাঙাচোরা বিদ্যাল ভবনে পড়াশোনা সম্ভব নয়। ছোট শিশুদের এখানে নিরাপত্তা নেই। তাই এখানে শিক্ষকদের এসে লাভ নেই। তাঁরা বিদ্যালয়ের দরজায় তালা লাগিয়ে দরজার সামনে বসে পড়েন। ফলে স্কুলে আসা অনেক পড়ুয়া ঢুকতে পারেনি। এক পড়ুয়ার মা গোপা বেরা বলেন, “বিদ্যালয় ভেঙে যাচ্ছে। এখানে পড়াশোনা করা যায়? আগে বিদ্যালয়ের নতুন বিল্ডিং হোক। ততদিন পাশের জুনিয়র হাইস্কুলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা ক্লাস করুক।’’

Advertisement

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তারাপদ মাইতিকেও এদিন স্কুলে ঢুকিয়ে বিক্ষোভকারীরা তালা লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, কাঁথি উত্তর চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শককে টেলিফোনে সমস্ত ঘটনা জানান তারাপদবাবু। এদিন সকাল ১১টা থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকারা তালাবন্দি অবস্থায় ভেতরে ছিলেন। পরে বিদ্যালয়ে আসেন এলাকার শিক্ষাবন্ধু, পঞ্চায়েতের উপপ্রধান। কিন্তু ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা তাঁদেরকেও শিক্ষকদের সঙ্গে একই ঘরে ঢুকিয়ে তালা লাগিয়ে দেন। খবর পেয়ে দুপুর ২টো নাগাদ বিদ্যালয়ে পৌঁছয় মারিশদা থানার পুলিশ। কিন্তু তাদের অনুরোধেও তালা খোলেননি অভিভাবকেরা। পরে বিকেল তিনটে নাগাদ বিদ্যালয়ে আসেন কাঁথি উত্তর চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক সন্তু সিংহ। অভিভাবকরা তাঁকে তাঁদের দাবি জানান। সন্তুবাবু বলেন, “পাশের জুনিয়র হাইস্কুলে আপাতত সকালের বিভাগে এই বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা ক্লাস করবে। বিল্ডিংয়ের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ইঞ্জিনিয়াররা আসবেন। তাঁরা পরিদর্শন করে রিপোর্ট দিলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।’’

এরপর অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের আশ্বাস পেয়ে অবরোধ ওঠে। শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অন্যান্য আধিকারিকদের তালা খুলে বাইরে বের করার ব্যবস্থা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন