রাস্তা মেরামত ও শৌচাগার নির্মাণের দাবি

প্রচার ট্যাবলো আটকে বিক্ষোভ

বাউল গানের সুরে শৌচাগারের গুরুত্ব বোঝাচ্ছিলেন শিল্পীরা। সেই শিল্পীদের আটকে রেখেই বিক্ষোভ দেখালেন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভগবানপুর-১ ব্লকের কাঁকরা গ্রামের ঘটনা। মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পে শৌচাগার ব্যবহার নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে তথ্য-সংস্কৃতি দফতরের তরফে বাউল শিল্পীদের নিয়ে এক প্রচার ট্যাবলো গিয়েছিল কাঁকরা গ্রাম পঞ্চায়েতে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০১৬ ২৩:১৯
Share:

বাউল গানের সুরে শৌচাগারের গুরুত্ব বোঝাচ্ছিলেন শিল্পীরা। সেই শিল্পীদের আটকে রেখেই বিক্ষোভ দেখালেন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভগবানপুর-১ ব্লকের কাঁকরা গ্রামের ঘটনা। মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পে শৌচাগার ব্যবহার নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে তথ্য-সংস্কৃতি দফতরের তরফে বাউল শিল্পীদের নিয়ে এক প্রচার ট্যাবলো গিয়েছিল কাঁকরা গ্রাম পঞ্চায়েতে।

Advertisement

অভিযোগ, ওই অনুষ্ঠান সেরে ফেরার পথে গ্রামপঞ্চায়েত অফিস থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে ওই প্রচার ট্যাবলো আটকে দেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, এলাকার রাস্তা বেহাল, বাড়িতে শৌচাগার তৈরির জন্য পঞ্চায়েত বা প্রশাসন কোনও ব্যবস্থাই করেনি। অথচ শৌচাগারের ব্যবহার নিয়ে ফলাও করে প্রচার করা হচ্ছে। তাঁরা দাবি করেন, প্রশাসনের আধিকারিকদের উপযুক্ত পদক্ষেপের আশ্বাস দিতে হবে।

বাউল শিল্পীদের আটকে পড়ার খবর পেয়ে ব্লক প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। ভগবানপুর থানার পুলিশ গিয়ে আলোচনার আশ্বাস দিয়ে আটকে শিল্পীদের উদ্ধার করে। জেলা তথ্য–সাংস্কৃতিক আধিকারিক তপন তরফদার বলেন, ‘‘কাঁকরা এলাকায় কিছু গ্রামবাসী তাঁদের দাবি নিয়ে লোকশিল্পীদের প্রচার ট্যাবলো আটকেছিলেন। ব্লক প্রশাসনের হস্তেক্ষেপে সমস্যা মিটে গিয়েছে।’’

Advertisement

এ দিকে এলাকায় শৌচাগার তৈরির কাজ বাকি থাকা প্রসঙ্গে কাঁকরা গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান মধুমিতা গিরি বলেন, ‘‘আগের বারের সমীক্ষা অনুযায়ী ওই এলাকায় অধিকাংশ বাড়িতে শৌচাগার রয়েছে। তবে অনেকেই নতুন করে শৌচাগার চাইছেন। এলাকায় সমস্যা রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement