ফের শহরের মন্দিরে তালা ভেঙে চুরি, প্রশ্নে নিরাপত্তা

ফের চুরি। আবার সেই মেদিনীপুর। এ বার শহরের কোতবাজারের শীতলা মন্দিরে চুরির অভিযোগ। মন্দিরের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য তপনকুমার সাহার অভিযোগ, ‘‘সোমবার রাতে মন্দিরের তালা ভেঙে চুরি হয়েছে। শীতলার সোনা ও রুপোর গয়না চুরি গিয়েছে। খোওয়া গিয়েছে পুজোর বাসনপত্রও।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০১৬ ০০:০০
Share:

ফের চুরি। আবার সেই মেদিনীপুর। এ বার শহরের কোতবাজারের শীতলা মন্দিরে চুরির অভিযোগ। মন্দিরের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য তপনকুমার সাহার অভিযোগ, ‘‘সোমবার রাতে মন্দিরের তালা ভেঙে চুরি হয়েছে। শীতলার সোনা ও রুপোর গয়না চুরি গিয়েছে। খোওয়া গিয়েছে পুজোর বাসনপত্রও।’’

Advertisement

দিন কয়েকের মধ্যে একাধিকবার শহরে রাতের অন্ধকারে চুরির ঘটনা ঘটেছে। গত সপ্তাহে ভরদুপুরে রবীন্দ্রনগরে একটি বাড়ির পিছন দিকের দরজা ভেঙে চুরির অভিযোগ ওঠে। মঙ্গলবার সকালে মন্দিরের সামনে ট্যাপ কল থেকে জল নিতে এসে স্থানীয় বাসিন্দারা দেখেন, মন্দিরের দরজার তালা ভাঙা। খবর পেয়ে সকলে মন্দিরে জড়ো হন। মন্দিরের পুরোহিত প্রশান্ত ভট্টচার্যের দাবি, ‘‘বিগ্রহের মাথার রুপোর মুকুট, সোনার কানের দুল, নাকছাবি, গলার হার ও লকেট, টিকলি খোওয়া গিয়েছে। তিন জোড়া রুপোর থালা-বাটিও চুরি গিয়েছে।’’

দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্যে রাশ টানতে মেদিনীপুর শহরে সিসিটিভি বসানোর কাজ চলছে। যদিও শহরে একের পর এক চুরির ঘটনায় নিরাপত্তার অভাব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কোতবাজার মন্দির কমিটির সদস্য দীপন সিংহ বলেন, ‘‘কিছুদিন আগেই তিনশো মিটার দূরে হবিবপুরের শীতলা মন্দিরে চুরি হয়েছে। ফের মন্দিরে চুরি হল। পুলিশের নজরদারি বাড়ানো উচিত।’’ তাঁর কথায়, ‘‘কোতবাজার এলাকায় গভীর রাত পর্যন্ত রাস্তায় লোক যাতায়াত করেন। ভোরের আলো ফোটার আগেই অনেকে প্রাতর্ভ্রমণে বেরোন। মাঝের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই চুরির ঘটনা ঘটেছে মনে হচ্ছে। রাতে গলিপথে পুলিশের টহল দেওয়া উচিত।’’ পুলিশ জানিয়েছে, নজরদারি বাড়ানো হবে। ঘটনার তদন্ত চলছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement