খুনের জন্য রামপদকে টাকাও দিয়েছিল পূর্ণিমা

গড়কিল্লা গ্রামে পান বরজে মুণ্ডহীন যুবতীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় মৃতের দিদি পূর্ণিমা বিশ্বাস ও বৌদি টুকটুকি সর্দারকে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিল আদলত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০১৬ ০১:০১
Share:

গড়কিল্লা গ্রামে পান বরজে মুণ্ডহীন যুবতীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় মৃতের দিদি পূর্ণিমা বিশ্বাস ও বৌদি টুকটুকি সর্দারকে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিল আদলত। পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘ধৃত পূর্ণিমা বিশ্বাস বোন পার্বতীকে খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। সঙ্গে পার্বতীর এক বৌদি টুকটুকি সর্দারও জড়িত ছিল। মামলায় পার্বতীর আরেক বৌদিকে সাক্ষী করা হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ধৃতদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।’’

Advertisement

বৃহস্পতিবার পার্বতীর পরিচয় জানা গিয়েছিল। শুক্রবার বাগুইআটির হেলাবটতলা থেকে পার্বতীর দিদি পূর্ণিমাকে গ্রেফতার করে তমলুক থানার পুলিশ। জানা গিয়েছিল, তন্ত্রসাধনার জন্য নরবলি নয়, পার্বতী সরকার নামে ওই তরুণীকে খুনের পিছনে আসলে রয়েছে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। আর তার মূল চক্রী দিদি পূর্ণিমাই। ষড়যন্ত্রে মদত দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় পার্বতীর বৌদি টুকটুকি ওরফে পুঁটি সর্দারকেও। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছে, পার্বতীকে খুনের জন্য প্রাথমিক খরচ হিসেবে পূর্ণিমা রামপদকে নগদ পাঁচ হাজার টাকা দিয়েছিল।

এরপরই রামপদ পার্বতীদেবীকে প্রলোভন দেখিয়ে খুনের জন্য বাগুইহাটি থেকে গড়কিল্লা গ্রামে এনেছিল। সেখানে পান বরজের মধ্যে পার্বতীকে খুন করে বাগুইহাটি পালিয়ে গিয়েছিল রামপদ।

Advertisement

খুনের ঘটনায় ধৃত রামপদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এসেছে। সংবাদমাধ্যমে তাঁর ছবি প্রকাশিত হওয়ার পর তা দেখে শনিবার পিংলার এক দম্পতি তমলুক থানায় এসে হাজির হন।

তাঁদের অভিযোগ, কয়েক মাস আগে রামপদ তাঁদের এলাকায় ম্যাজিক দেখাতে গিয়েছিল। সেখানে ওই রামপদ তন্ত্র সাধনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে কয়েক ভরি সোনা ও নগদ কয়েক হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে এসেছিল। পেশায় শ্রমিক ওই দম্পতি এ দিন রামপদের বিরুদ্ধে প্রতারণার বিষয়ে মৌখিক অভিযোগ জানিয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement