উড়ান: মহিষাদলের রথে উড়ছে ড্রোন। নিজস্ব চিত্র
সংস্কারের পর নবকলেবরে মহিষাদলের রথযাত্রা দেখতে রবিবার বাঁধ ভাঙল মানুষের ভিড়। সকাল থেকেই শুরু হতে থাকে জমায়েত। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজপথ লোকে লোকারণ্য। বৃষ্টি না থাকায় উৎসব আরও বর্ণময় হয়ে উঠেছিল। এদিন পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী সংস্কার হওয়া জগন্নাথ দেবের মাসিরবাড়ি গুণ্ডিচাবাটির উদ্বোধন করেন।
রথযাত্রা ও মেলা উপলক্ষে এ বার মহিষাদলে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নজরদারির জন্য নামানো হয়েছিল ড্রোন। রথযাত্রা কমিটি সূত্রে খবর, মেলায় নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। মহিষাদল ছাড়াও সুতাহাটা, গিরীশমোড়, হলদিয়া টাউনশিপে রথযাত্রায় বেশ ভিড় হয়েছিল। হলদিয়ার হাজরামোড়ে মৈত্রীভূমির দুর্গাপুজোর এ দিন খুঁটি পুজো হয়।
রথের মেলায় মেতে উঠেছে তমলুক, ডিমারি, মেচেদা, কোলাঘাট, নন্দকুমার-সহ বিভিন্ন এলাকা। এ দিন বিকেলে মেচেদাবাজারে বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ময়দানে ইসকনের রথযাত্রার উদ্বোধন করেন পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। তমলুকের জেলখানা মোড়ে মহাপ্রভু মন্দিরের প্রাঙ্গণে রথযাত্রার উদ্বোধন করেন পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ সেন। স্টিমারঘাট, বর্গভীমা মন্দির, বড়বাজার, হাসপাতাল মোড়, মানিকতলা হয়ে তমলুক রাজবাড়ির প্রাঙ্গণে যায় রথ। শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের ডিমারিহাটেও এ দিন রথযাত্রা উৎসব পালিত হয়।
কোলাঘাট নতুন বাজারে রাধামাধবজিউ মন্দির থেকে রথযাত্রার উদ্বোধন করেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল। পাঁশকুড়ার দক্ষিণ চাচিয়াড়া, সরস্বত্যা ও আমডুবি গ্রামবাসীর পরিচালনায় ঐতিহ্যবাহী সঙ্গতের রথযাত্রা ও প্রতাপপুর এলাকায় রথযাত্রা হয়।