deadbody

‘ডেথ সার্টিফিকেট’-এর জায়গায় ‘রেফার সার্টিফিকেট’, দেহ আটকে বিক্ষোভ কেশিয়াড়িতে

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রতনের দেহ গ্রামে পৌঁছলে দেখা যায় ‘ডেথ সার্টিফিকেট’-এর জায়গায় দেওয়া হয়েছে ‘রেফার সার্টিফিকেট’।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৯:৫৪
Share:

দেহ ঘিরে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।

ভুল বুঝিয়ে ‘ডেথ সার্টিফিকেট’-এর বদলে ‘রেফার সার্টিফিকেট’ দিয়ে দেহ গ্রামে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই অভিযোগ তুলে দেহ অ্যাম্বুল্যান্সে রেখে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ির আনাড় গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। সপ্তাহখানেক আগে একটি অবৈধ বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে আহত হয়েছিলেন ২ ব্যক্তি। তাঁদের মধ্যে ১ জনের মৃত্যু হয়। শুক্রবার ভোরে দেহ গ্রামে পৌঁছতেই বিক্ষোভ শুরু হয়। মৃতের নাম রতন কর।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রতনের দেহ গ্রামে পৌঁছলে দেখা যায় ‘ডেথ সার্টিফিকেট’-এর জায়গায় দেওয়া হয়েছে ‘রেফার সার্টিফিকেট’। তাঁদের অভিযোগ, রতনের বাড়ির লোককে ভুল বুঝিয়ে ওই ‘রেফার সার্টিফিকেট’ দিয়ে ছেড়ে দিয়েছে কটকের ১টি হাসপাতাল। দেহ কেশিয়াড়ির গ্রামে আসার পর গোটা বিষয়টি বোঝা যায়। তার পরেই দেহ অ্যাম্বুল্যান্সে আটকে শুরু বিক্ষোভ। গ্রামবাসীরা প্রশ্ন তোলেন, কেন ময়নাতদন্ত না করে এ ভাবে ‘রেফার সার্টিফিকেট’ দেওয়া হল?

খবর পেয়েই পরিস্থিতি সামাল দিতে গ্রামে পৌঁছয় কেশিয়াড়ি থানার পুলিশ বাহিনী। অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (খড়গপুর) রানা মুখোপাধ্যায় বলেন, “মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। অবৈধ বাজি কারখানা চালানোর অভিযোগে আগেই গ্রেফতারও করা হয়েছে ১ জনকে।”

Advertisement

গত ১০ ফেব্রুয়ারি ভয়ানক বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে আনাড় গ্রাম। অবৈধ বাজি কারখানায় সেই বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন সেখানে কর্মরত ২ জন। তাঁদের প্রথমে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতাল এবং পরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে রতনকে নিয়ে যাওয়া হয় ওড়িশার কটকের এক হাসপাতালে। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন