রাস্তার পাশে পড়ে স্টোনচিপস
বাইক চালক-সহ সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্য ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাইক চালক-আরোহীদের মাথায় হেলমেট পরা বাধ্যতামূলক করতে পুলিশের অভিযানের পাশাপাশি ‘নো হেলমেট নো পেট্রোল’ স্লোগান দিয়ে কড়া পদক্ষেপও শুরু হয়েছে কয়েক মাস আগে। অথচ রাস্তার পাশে ফেলে রাখা নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে পুলিশের নজরদারি কিছুটা কমতেই পুরনো ছবি ফিরে এসেছে আবার।
পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া- মেচেদা রাজ্য সড়ক-সহ বিভিন্ন ব্যস্ত সড়কের একাংশ দখল করে বালি, স্টোনচিপস, কাঠের গুঁড়ি- সহ বিভিন্ন সামগ্রী ফেলে রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এছাড়া সড়কের ধারে গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ। আর এর জেরে সড়কে ফের দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে। বাস চালকদের অভিযোগ, প্রশাসনের অভিযানে ঢিলেমির সুযোগে ফের সড়কের একাংশ দখল করে জিনিস রাখার প্রবণতা বাড়ছে। ফলে সড়কে গাড়ি চালানো ঝুঁকি বহুল হয়ে উঠেছে।
রবিবার হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়ক ঘুরে দেখা গেল, জেলা সদর তমলুক শহরের হাসপাতাল মোড়ে পূর্ত দফতরের অফিস থেকে ঢিল ছোঁড়া দুরত্বে সড়কের দু’ধারে একাংশ দখল করে বালি, স্টোন চিপস ফেলে রাখা হয়েছে। শহরের নারায়ণপুরে সড়কের দু’ধারে ফুটপাথ দখল করে সারি সারি লরি দাঁড় করিয়ে চলছে একাধিক গ্যারাজ। নন্দকুমারের দিকে ব্যবত্তারহাট বাজারের কাছে সড়কের ধারে বালি, পুয়্যাদা বাজারের কাছে সড়কে দু’ধারে নারকেল ছোবড়ার স্তূপ ও সড়কের একাংশ দখল নারকেল ছোবড়া রেখে শুকনো করার কাজ চলছে। নন্দকুমারের ঝাউতলার কাছে সড়কের একাংশ দখল করে বালি রাখা হয়েছে।
রাস্তা জুড়ে লরির সারি। হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়কে পার্থপ্রতিম দাসের তোলা ছবি।
স্থানীয় রিকশা চালক প্রভাত ভুঁইয়া বলেন, ‘‘প্রতিদিন নন্দকুমার বাজারে যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু সড়কের ধারে বালি রাখার ফলে রাস্তার মাঝ দিয়ে ভ্যান চালাতে হয়। বাস-লরি পাশ কাটানোর সময় আতঙ্কে থাকতে হয়।’’ বুড়ারি গ্রামের ছাত্রী অনিতা মাইতি বলেন, ‘‘স্কুলে সাইকেল চলিয়ে যাওয়ার সময় বাস, লরি পাশ কাটিয়ে যায়। কিন্তু রাস্তার ধারে ফুটপাথ দখল করে জিনিস পড়ে থআকায় ফুটপাথ দিয়ে যেতে পারি না।’’
পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক রশ্মি কমল বলেন, ‘‘সড়কের ধারে সামগ্রী রাখার দীর্ঘদিন ধরে প্রবণতা ছিল। আমরা অভিযান চালানোর পর সেই প্রবণতা কমেছে। তবে কিছু এলাকায় এখনও এ ধরনের ঘটনা নজরে এসেছে। এবিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’’