বেহাল সড়ক। হলদিয়ার আজাদ হিন্দ নগরে তোলা নিজস্ব চিত্র।
কোথাও তৈরি হয়েছে বড় গর্ত, কোথায় অনেকগুলো ছোট ছোট খন্দ, কোথাও বা পিচ উঠে এবড়ো খেবড়ো হয়ে গিয়েছে রাস্তা। সংস্কারের অভাবে এমনই হাল শিল্পশহর হলদিয়ার বেশ কিছু রাস্তার। ফলে নিত্যদিনের যাতায়াতে সমস্যার মুখে পড়ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। হলদিয়া পুরসভা এবং হলদিয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বেহাল রাস্তা বর্ষার পরেই সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হলদিয়ার হাতিবেড়িয়া থেকে আজাদ হিন্দ নগর পর্যন্ত রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে। বৃষ্টি হলেই ওই সব খানাখন্দ ডোবার আকার নেয়। আইওসি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের সামনে দিয়ে আজাদ হিন্দ নগর যাওয়ার রাস্তাটিতেও খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। তেমনই কদমতলা থেকে ভবানীপুর থানার সামনে ৪১ নম্বর জাতীয় সড়ক পর্যন্ত রাস্তাও দীর্ঘদিন ধরে খানাখন্দে ভরে রয়েছে। তাছাড়াও ক্ষুদিরামনগরের বেশ কিছু রাস্তার পিচের আস্তরণ উঠে গিয়েছে।দু র্গাচকের ক্ষুদিরাম স্কোয়্যারে এইচপিএল লিংক রোডের মুখেও খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। ক্ষুদিরাম স্কোয়ার থেকে মিৎসুবিশি যাওয়ার রাস্তাও বেহাল। হলদিয়ার চিরঞ্জীবপুরের বেশ কিছু জায়গায় রাস্তা খারাপ হয়ে গিয়েছে। রানিচক মোড়ে রেলওয়ে ক্রসিংয়ের কাছে এবং সিটি সেন্টার মোড়ে, ব্রজলালচক মোড়ের কাছে ৪১নম্বর জাতীয় সড়কের খানাখন্দ তৈরি হয়েছে।
হলদিয়া টাউনশিপের বাসিন্দা ইন্দ্রনীল চক্রবর্তী বলেন, ‘‘অনেক দিন ধরেই রাস্তার অবস্থা খুব খারাপ। বৃষ্টি হলে ওই সব রাস্তায় জল জমে ডোবা হয়ে যায়। এমন রাস্তা দিয়ে প্রাণ হাতে নিয়ে নিত্যদিন যাতায়াত করতে হয়। কবে রাস্তা সারানো হবে কে জানে!’’ হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান দেবপ্রসাদ মণ্ডল বলেন, ‘‘বর্ষায় হলদিয়ার বেশ কিছু কিছু রাস্তা খারাপ হয়েছে। কিছু রাস্তা জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের আওতায় ও কিছু রাস্তা পূর্ত দফতরের আওতায় রয়েছে। হাতিবেড়িয়া থেকে আজাদ হিন্দ নগর পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারের জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছে। ক্ষুদিরাম স্কোয়ারেও রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’’ হলদিয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সিইও উজ্জলকুমার সেনগুপ্তর কথায়, ‘‘বর্ষা শেষ হলেই ওই সব রাস্তা সংস্কারের কাজ
শুরু হবে।’’