কাজ কম নয়, বরং স্থায়ী কর্মীর অভাবে চতুর্থ শ্রেণির ঠিকা কর্মীদের দায়িত্ব বাড়ে লাফিয়ে লাফিয়ে। তবে বেতন বৈষম্যে কোনও পরিবর্তন নেই— অভিযোগ তুললেন হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালের ঠিকা কর্মীরা। তাঁদের দাবি, মাসে ২৬ দিন কাজ করলেও তাঁদের বেতন দেওয়া হয় ২০দিনের। তমলুক জেলা হাসপাতাল কিম্বা কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ঠিকা কর্মীদের মজুরি কয়েকমাস বাড়লেও সুপারের গাফিলতিতে বেতন বাড়েনি হলদিয়া হাসপাতালে।
কিছু কর্মী বলছেন, ‘‘মজুরি বাড়ানোর দাবি জানাতে গেলে ছাঁটাইয়ের হুমকি শুনতে হয়।’’ ঠিকা কর্মীদের নিয়োগ ও বেতন দেওয়ার দায়িত্বে রয়েছে রোগী কল্যাণ সমিতি। হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান, হলদিয়ার মহকুমাশাসক পূর্ণেন্দুশেখর নস্কর বলেন, “ঠিকা কর্মীদের কত মজুরি দেওয়া হয় বা মজুরি কতটা বাড়ানো হবে তা হাসপাতাল সুপার বলতে পারবেন। এ বিষয়ে তিনি আমাকে কিছু জানাননি। তেমন প্রস্তাব এলে আমরা সমিতির বৈঠকে আলোচনা করে দেখব।”
হাসপাতাল সুপার সুমনা দাশগুপ্তর দাবি, “একটি কর্মী সংগঠন আমার কাছে বেতন বৃদ্ধিক দাবি জানিয়েছে। আমি সিএমওএইচকে জানিয়ে দিয়েছি।” জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা নিতাইচন্দ্র মণ্ডল কিন্তু বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “এই বিষয়ে আমাকে কিছু জানানো হয়নি। তা ছাড়া, এটি দেখবেন হাসপাতাল সুপার এবং রোগী কল্যাণ সমিতি।”
দিন কয়েক আগে ওয়েস্ট বেঙ্গল নন গেজেটেড হেলথ এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে হাসপাতাল সুপারের কাছে ঠিকা কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির দাবি জানানো হয়। সংগঠনের হলদিয়া শাখার সম্পাদক অরুণকুমার মিশ্র অবশ্য দাবি করেন, “রোগী কল্যাণ সমিতির তহবিলে টাকা না থাকায় ঠিকা কর্মীদের বেতন বাড়ানো যাচ্ছে না বলে সুপার জানিয়েছেন। জানুয়ারি মাসেই রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে ঠিকা কর্মীদের বেতন বাড়ানোর দাবি জানানো হবে।”
ঠিকা কর্মীরা বলছেন, কাজের চাপ বাড়ছে। অথচ কর্মীর অভাব। তাই চতুর্থ শ্রেণির ঠিকা কর্মীদেরই সেই সব কাজ করতে হয়। তাঁদের দাবি, দৈনিক ১০০ টাকা করে মজুরি দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হয় ৭৬ টাকা ৯২ পয়সা। তমলুক জেলা হাসপাতাল বা কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে গত বছরের অগস্ট মাস থেকে ঠিকা কর্মীদের দৈনিক ১৭৩ টাকা মজুরি চালু হয়ে গিয়েছে।