পুরস্কৃত সারবোত পঞ্চায়েত

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গড়বেতা ২ অর্থাৎ গোয়ালতোড় ব্লকের এই গ্রাম পঞ্চায়েতকে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পে ‘নানাজী দেশমুখ রাষ্ট্রীয় গৌরব গ্রামসভা যোজনা’র আওতায় পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গোয়ালতোড় শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৯ ০০:৫৮
Share:

কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পে কাজ চলছে সারবোতে। নিজস্ব চিত্র

কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পে ভাল কাজ করে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘রাষ্ট্রীয় গৌরব’ পুরস্কার পেল গোয়ালতোড়ের তৃণমূল পরিচালিত সারবোত গ্রাম পঞ্চায়েত।

Advertisement

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গড়বেতা ২ অর্থাৎ গোয়ালতোড় ব্লকের এই গ্রাম পঞ্চায়েতকে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পে ‘নানাজী দেশমুখ রাষ্ট্রীয় গৌরব গ্রামসভা যোজনা’র আওতায় পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। বুধবার ২৩ অক্টোবর দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক থেকে এই পুরস্কার নিয়ে আসেন সারবোত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অরবিন্দ গোস্বামী। দেওয়া হয়েছে ট্রফি, শংসাপত্র ও ১৫ লক্ষ টাকা। বৃহস্পতিবার রাতে দিল্লি থেকে ফিরে শুক্রবার ট্রফি-শংসাপত্র নিয়ে পঞ্চায়েতে আসেন প্রধান। তিনি বলেন, ‘‘এই পুরস্কার আমাদের দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দিল।’’ উল্লেখ্য, বিভিন্ন ক্ষেত্রে গ্রামোন্নয়নে ভাল কাজের স্বীকৃতি হিসেবে এ রাজ্যের আরও ৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে এ বার পুরস্কার দিয়েছে কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক।

সারবোত গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬ সাল থেকে প্রাতিষ্ঠানিক সশক্তিকরণ কর্মসূচি-২ এর অধীনে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল। এরজন্য প্রায় সাড়ে ৩২ লক্ষ টাকার ডিপিআর তৈরি করা হয়। মূল উদ্দেশ্য ছিল পঞ্চায়েত এলাকাকে প্লাস্টিক ও নোংরা আবর্জনা মুক্ত করা। পরীক্ষামূলকভাবে ৪টি গ্রাম সংসদ এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়। তাদের পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য পৃথকভাবে জড়ো করতে বলা হয়। প্রতি বাড়িতে দু’টি করে বালতি দেওয়া হয়। এই প্রকল্পে নিযুক্ত কর্মীরা সেগুলি সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট স্থানে জড়ো করেন। সেগুলিকে প্রক্রিয়াকরণ করে জৈব ও কেঁচোসার তৈরি করা হয়। সেগুলি বিক্রি করে পঞ্চায়েতের আয় বাড়ে। প্রধান অরবিন্দ গোস্বামী বলেন, ‘‘ওই ৪টি গ্রাম সংসদ এলাকা অনেকটাই এখন পরিবেশ বান্ধব হয়েছে। ওই গ্রামের বাসিন্দারা যত্রতত্র প্লাস্টিক ও নোংরা আবর্জনা ফেলে পরিবেশ দূষিত করেন না।’’

Advertisement

তবে এই সাফল্যকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না ওই পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা বিজেপির ভীমসেন প্রামাণিক। তাঁর দাবি, ‘‘যা কিছু হয়েছে খাতায় কলমে। বাস্তবে কাজ তেমন কিছু হয়নি। মানুষ উপকৃত হননি। দুর্নীতিও আছে।’’ প্রধান যদিও সেই অভিযোগ মানেননি।

জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ বলেন, ‘‘ভাল কাজ করছি বলেই তো কেন্দ্রীয় সরকার পুরস্কার দিতে বাধ্য হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই রাজ্যে যে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়নের কাজ ভাল হচ্ছে এই পুরস্কার তারই প্রমাণ।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন