রামনগরে নেতা খুনই, দাবি বিজেপির
Sayantan Basu

বাধা, সায়ন্তন ফিরে গেলেন

বুধবার রামনগর-১ ব্লকের অর্জুনি গ্রামে একটি পান বরজে বিজেপির বুথ সভাপতি পূর্ণচন্দ্র দাসের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পাঁশকুড়া শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০২০ ০২:১১
Share:

পুলিশি বাধার মুখে সায়ন্তনের গাড়ি। শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র

ফের পুলিশের বাধার মুখে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। শুক্রবার রামনগরে মৃত দলীয় কর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পথে পাঁশকুড়ায় ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে তাঁর পথ আটকাল পুলিশ। প্রতিবাদে জাতীয় সড়কে অবস্থান বিক্ষোভ করলেন বিজেপি নেতা কর্মীরা। প্রায় দু'ঘণ্টা আটকে থাকার পর ফিরে যান সায়ন্তন।

Advertisement

বুধবার রামনগর-১ ব্লকের অর্জুনি গ্রামে একটি পান বরজে বিজেপির বুথ সভাপতি পূর্ণচন্দ্র দাসের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তোলে বিজেপি। এদিন মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে হাওড়া থেকে রওনা দেন সায়ন্তন বসু। তিনি আসার অনেক আগে থেকেই কোলাঘাটে হলদিয়া মোড়ে ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কে পুলিশ ব্যারিকেড করে রেখেছিল। কিন্তু সায়ন্তন ওই পথে না গিয়ে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে ডেবরার দিকে এগোতে থাকেন।

সকাল ১১টা নাগাদ পাঁশকুড়ার রাতুলিয়ায় তাঁর পথ আটকায় পুলিশ। সেথানে ছিলেন তমলুকের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস, সিআই স্বরূপ বসাক, পাঁশকুড়া থানার ওসি অজয় মিশ্র-সহ পুলিশের বিশাল বাহিনী। সায়ন্তনের সঙ্গে অন্য দুটি গাড়িতে ছিলেন বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি নবারুণ নায়েক ও বিজেপি নেতা সিন্টু সেনাপতি। প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন কাঁথিতে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাওয়ার পথে কোলাঘাটে হলদিয়া মোড়ে সায়ন্তনের গাড়ি আটকেছিল পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সায়ন্তনের পথ আটকানোর কিছুক্ষণের মধ্যে পাঁশকুড়ার বিজেপি নেতা-কর্মীরা সেখানে জড়ো হয়ে জাতীয় সড়কে বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। সায়ন্তন জোর করে যেতে চাইলে পুলিশ জানায়, তিনি রামনগর গেলে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে। তাই যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান পাঁশকুড়ার বিডিও ধেনধুপ ভুটিয়া। তিনি বলেন, ‘‘ইদের কারণে রাতুলিয়া সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি আছে। তাই সায়ন্তন বসুকে ফিরে যেতে হবে।’’

পৌনে দু’ঘণ্টা আটকে থাকার পর গাড়ি ঘুরিয়ে নিয়ে সায়ন্তন হাওড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। তিনি বলেন, ‘‘রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যাচ্ছিলাম না। দলের এক নেতাকে খুন করা হয়েছে। তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলাম। পুলিশ তাতেই ভয় পেয়ে আটকে দিয়েছে। বিজেপিকে আটকাতে পুলিশ আর সমাজ বিরোধীদের ব্যবহার করা হচ্ছে।’’

কেন আটকানো হল সায়ন্তনকে? তমলুকের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এমএম হাসান বলেন, ‘‘উনি রামনগরে গেলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারত। তাই ওঁকে যেতে দেওয়া হয়নি।’’ সায়ন্তন আটকে থাকার সময় এক তৃণমূল নেতার কনভয় পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। যা নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি নবারুণ নায়েক বলেন, ‘‘পাঁশকুড়ার বিডিও জানিয়েছেন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি আছে। ১৪৪ ধারা জারি থাকলে বিজেপি নেতারা যেতে পারবেন না। অথচ তৃণমূলের নেতাদের ছাড় রয়েছে। তৃণমূলকে এর জবাব দেবে মানুষই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন