শহরে খাটাল কেন! বিরক্ত মহকুমাশাসক

ডেঙ্গি অভিযানে বেরিয়ে শহরের মধ্যে খাটাল দেখে মেজাজ হারালেন ঝাড়গ্রামের মহকুমাশাসক। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:৫৭
Share:

রেগে-আগুন: ডেঙ্গি অভিযানে ঝাড়গ্রামের মহকুমা শাসক। নিজস্ব চিত্র

ডেঙ্গি অভিযানে বেরিয়ে শহরের মধ্যে খাটাল দেখে মেজাজ হারালেন ঝাড়গ্রামের মহকুমাশাসক।

Advertisement

রবিবার শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে সাফাই অভিযানে মহকুমাশাসক সুবর্ণ রায়ের সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর ঘনশ্যাম সিংহ, পুরসভার জনস্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিক বংশীধর জানা। শীতলাডিহি এলাকায় খাটাল দেখে বিরক্ত হন মহকুমাশাসক। খাটালগুলির পাঁচিল নেই, চারিদিকে গোবরের ডাঁই, জলকাদায় ভর্তি। নিকাশি নালাগুলিও গোবরে ভর্তি। গরুর খাবারের পাত্রগুলির জমা জলে কিলবিল করছে মশার লার্ভা। ঘনশ্যামের কাছে মহকুমাশাসক জানতে চান, কীভাবে শহরের মধ্যে খাটাল চলছে। ঘনশ্যাম জানান, ১৯৮২ সালে পুরসভা হওয়ার অনেক আগে থেকে এই খাটালগুলি রয়েছে।

মহকুমাশাসক খাটাল মালিকদের জানিয়ে দেন, এক মাসের মধ্যে গোবর ফেলার জায়গা পাঁচিল দিয়ে ঘিরে দিতে হবে, নিকাশি নালাগুলি পরিষ্কার রাখতে হবে। না হলে এক মাসের মধ্যে শহরের ওই সব খাটাল তুলে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন মহকুমাশাসক। এলাকার পরিত্যক্ত কুয়ো বুজিয়ে দেওয়ারও নির্দেশ দেন তিনি।

Advertisement

স্থানীয় কাউন্সিলর ঘনশ্যাম বলেন, “বহুবার খাটাল গুলিকে সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু ওরা কিছুতেই কথা শুনছিলেন না। তবে এর সঙ্গে বহু মানুষের রুজিরুটি জড়িয়ে আছে। সেই বিষয়টিও ভাবার।’’

মহকুমাশাসক কড়া পদক্ষেপ করার কথা বলার পরে অবশ্য খাটাল মালিকরা বিধি মেনে চত্বর পরিষ্কার রাখবেন বলে জানিয়েছেন। এ দিন অবশ্য ওই ওয়ার্ডের ঘোড়াধরা, শীতলাডিহি, কনকপল্লীর পরিচ্ছন্ন রাস্তাঘাট দেখে খুশি হন মহকুমাশাসক।

জেলাশাসাক আয়েষা রানি জানান, শহরে খাটাল গুলির স্থায়ী সমস্যা মেটানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। গোবর থেকে বায়ো গ্যাস প্ল্যান্ট করার ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন