অসতর্কতায় বিপত্তি

ভিড়ে হঠাৎ গুলি, জখম ৩ স্‌প্লিন্টারে

স্‌প্লিন্টার বিঁধে তিনজন জখমও হলেন। সকলেই মেদিনীপুর মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন। তবে দুষ্কৃতী তাণ্ডব নয়, এটিএমে টাকা ভরতে আসা এক নিরাপত্তারক্ষীর বন্দুক থেকে অসাবধানতাবশত গুলি বেরিয়েই এই বিপত্তি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০১৭ ০১:৪০
Share:

শনিবার সন্ধ্যা। হঠাৎই গুলি চলল মেদিনীপুর শহরের কুইকোটায়। স্‌প্লিন্টার বিঁধে তিনজন জখমও হলেন। সকলেই মেদিনীপুর মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন। তবে দুষ্কৃতী তাণ্ডব নয়, এটিএমে টাকা ভরতে আসা এক নিরাপত্তারক্ষীর বন্দুক থেকে অসাবধানতাবশত গুলি বেরিয়েই এই বিপত্তি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কমলেশ ঘোষ নামে ওই নিরাপত্তারক্ষীর বাড়ি খড়্গপুর গ্রামীণে। তাঁকে আটক করেছে পুলিশ। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “অসাবধানতাবশত বন্দুক থেকে ওই গুলি বেরিয়েছে।’’ তবে গুলি সরাসরি কারও হাতে-পায়ে লাগেনি, মাটিতে লেগেছে। স্‌প্লিন্টার ছড়িয়ে পড়ে। জেলা পুলিশের ওই কর্তার কথায়, “উদ্বেগের কিছু নেই। তিনজনেরই আঘাত সামান্য।”

Advertisement

মেদিনীপুর শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এলাকা কুইকোটা। সেখানে ভরসন্ধেয় হঠাৎ গুলির শব্দে শোরগোল পড়ে যায়। মুহূর্তে প্রচুর লোকের ভিড় জমে ঘটনাস্থলে। কিছু সময়ের জন্য সিপাইবাজার-আবাস রাস্তায় যান চলাচলও ব্যাহত হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পুলিশ পৌঁছনোর পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ঘটনাটি ঠিক কী?

Advertisement

কুইকোটার একটি এটিএমে টাকা ভরতে এ দিন সন্ধ্যায় এক সংস্থার গাড়ি এসেছিল। গাড়িতে কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন। এঁদেরই একজনের বন্দুক থেকে আচমকা একটি গুলি বেরিয়ে যায়। এটিএমের পাশেই একটি ফুচকার দোকান ছিল। সেখানে তখন ফুচকা খাচ্ছিলেন কয়েকজন। মাটিতে গুলি লাগার পরে স্‌প্লিন্টার তিনজনের পায়ে গিয়ে বেঁধে। জখম হন সুমন দাস, পায়েল চালক ও মৌসুমী দত্ত। সুমনের কথায়, “আচমকাই ঘটনাটি ঘটে। গোড়ায় কিছুই বুঝতে পারিনি।”

মেদিনীপুর শহরে গুলি চলার ঘটনাও নতুন নয়। মাস কয়েক আগেই শহরের পুলিশ লাইনের অদূরে তেঁতুলতলার মাঠে গুলি চালনার ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ হন এক যুবক। পরে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, দু’পক্ষের মধ্যে বচসার জেরেই ওই ঘটনা ঘটেছিল। দুই যুবককে গ্রেফতার করে পিস্তলও উদ্ধার করা হয়। ফলে, এ দিন গুলি চলার পরে শহর জুড়ে নানা জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে জানা যায়, অসাবধনতায় গুলি ছিটকেই এই বিপত্তি।

অসাবধানতাবশত গুলি চলার ঘটনাও এই প্রথম নয়। মাস কয়েক আগে কেশপুরে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা নিয়ে যাওয়ার সময় এক নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যুও হয়েছিল। ওই নিরাপত্তারক্ষী গাড়িতে ছিলেন। আচমকাই তাঁর নিজের কাছে থাকা বন্দুক থেকে গুলি বেরিয়ে যায়। এ দিন কুইকোটার ঘটনার পরে স্থানীয় কাউন্সিলর নির্মাল্য চক্রবর্তী বলেন, “ওই তিনজনের কারও আঘাত গুরুতর নয় ঠিকই, তবে বড় ধরনের কোনও ঘটনা ঘটতেই পারত। নিরাপত্তারক্ষীদের উচিত সব সময় আরও সতর্ক থাকা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন