বিকাশের জেল হাজত

শেষ পর্যন্ত আদালতে তোলা হল মাওবাদী নেতা বিকাশকে। শুক্রবার দুপুরে প্রথমে শিলদা-কাণ্ড-সহ তিনটি মামলায় বিকাশকে ঝাড়গ্রাম প্রথম এসিজেএম আদালতে হাজির করা হয়। পরে লালগড়ের পুরনো দু’টি মামলায় তাঁকে ঝাড়গ্রাম দ্বিতীয় এসিজেএম আদালতে হাজির করে পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০১৬ ০১:১৯
Share:

শেষ পর্যন্ত আদালতে তোলা হল মাওবাদী নেতা বিকাশকে। শুক্রবার দুপুরে প্রথমে শিলদা-কাণ্ড-সহ তিনটি মামলায় বিকাশকে ঝাড়গ্রাম প্রথম এসিজেএম আদালতে হাজির করা হয়। পরে লালগড়ের পুরনো দু’টি মামলায় তাঁকে ঝাড়গ্রাম দ্বিতীয় এসিজেএম আদালতে হাজির করে পুলিশ। একটি মামলায় জামিন মঞ্জুর হয় বিকাশের। শিলদা-সহ বাকি চারটি মামলায় তাঁর সাতদিন জেল হাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। বিকাশের আইনজীবী কৌশিক সিংহ বলেন, “বিকাশ ওরফে মনসারাম হেমব্রম তৎকালীন পরিস্থিতির শিকার হয়ে আজ বহু মামলায় অভিযুক্ত।”

Advertisement

২০১০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি শিলদার ইএফআর ক্যাম্পে হামলা চালায় মাওবাদীরা। প্রাণ হারান ২৪ জন জওয়ান। ওই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত বিকাশ। ২০০৮ সালের ২৬ মে ঝাড়গ্রাম শহরের উপকণ্ঠে ইএফআর ও পুলিশ কর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে একটি একে-৪৭, একটি কার্বাইন এবং এক সাব ইন্সপেক্টরের একটি সার্ভিস রিভলবার লুঠ করেছিল মাওবাদীরা। অভিযোগ, ওই ঘটনায় বিকাশ ও তাঁর স্ত্রী তারা-সহ মাওবাদী স্কোয়াডের ছোড়া গুলিতে এক ইএফআর জওয়ান এবং ঝাড়গ্রাম থানার এক সাব ইন্সপেক্টর নিহত হন। রাজ্যে ক্ষমতার পালা বদলের পরে ২০১২ সালের ২৮ জুলাই বিনপুরের কুশবনির জঙ্গল রাস্তায় একটি ল্যান্ডমাইন উদ্ধার করেছিল পুলিশ। বিকাশের নেতৃত্বে মাওবাদীরা ওই মাইন পুঁতেছিল বলে মামলা রুজু হয়। ২০১০ সালের ১৯ মে রামগড়ের তেঁতুলডাঙায় মাইন বিস্ফোরণে নিহত হন সিআরপি-র এক অ্যাসিস্ট্যান্ট কম্যান্ডান্ট-সহ পাঁচ জওয়ান। ২০১০ সালের ২০ মার্চ লালগড়ের ধরমপুরে সিআরপিএফ এবং পুলিশকে সরকারি কাজে সশস্ত্রভাবে বাধাদানের একটি মামলাতেও বিকাশ অভিযুক্ত।

মোট পাঁচটি মামলার মধ্যে লালগড়ে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সরকারি কাজে বাধাদানের মামলায় এ দিন বিকাশের জামিন মঞ্জুর করে আদালত। আগামী ৩ জুন বিকাশকে ফের ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলা হবে। চলতি বছর এপ্রিল মাসের গোড়ায় ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ মাওবাদী দম্পতি বিকাশ এবং তাঁর স্ত্রী তারা ওরফে ঠাকুরমণিকে হুগলির মগরার চাঁপারুই থেকে গ্রেফতার করে স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। বিকাশের স্ত্রী মাওবাদী নেত্রী তারা এখন সাত বছর আগে সাঁকরাইল থানার ওসিকে অপহরণের মামলায় সিআইডি হেফাজতে রয়েছেন।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন