mann ki baat

একশো পর্বে ‘মন কি বাত’, নানা আয়োজন

সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। বছর ঘুরলে লোকসভা ভোট। এই আবহে 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানকে প্রচারে হাতিয়ার করছে গেরুয়া শিবির। কয়েকদিন ধরেই মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির কর্মকর্তারা এই নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চন্দ্রকোনা রোড শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩ ০৯:৪৬
Share:

রবিবার 'মন কি বাত' একশো পর্বে পা দেবে। ফাইল ছবি।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর 'মন কি বাত' এর শততম পর্ব শোনাতে নানা আয়োজন করছে বিজেপি। আজ, রবিবার 'মন কি বাত' একশো পর্বে পা দেবে। এই উপলক্ষে বিজেপির মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলায় দেড় হাজার জায়গায় ওই অনুষ্ঠান শোনানোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে।

Advertisement

সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। বছর ঘুরলে লোকসভা ভোট। এই আবহে 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানকে প্রচারে হাতিয়ার করছে গেরুয়া শিবির। কয়েকদিন ধরেই মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির কর্মকর্তারা এই নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেছেন। চলেছে প্রস্তুতিও। মণ্ডল পিছু একজন করে জেলা বা রাজ্যস্তরীয় কার্যকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

বিজেপি সূত্রে খবর, দলের মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস মিশ্র নিজে শালবনি ২ নম্বর মণ্ডলে থাকবেন। সহ সভাপতি শঙ্করকুমার গুছাইত গড়বেতা ৪ নম্বর মণ্ডলে থাকবেন। রাজ্য সহ সভাপতি শমিত দাস, রাজ্যের এসসি মোর্চার সাধারণ সম্পাদক মদন রুইদাস, রাজ্যের কার্যকরী কমিটির সদস্য ধীমান কোলেকেও একটি করে মণ্ডলে গিয়ে 'মন কি বাত' অনুষ্ঠান পরিচালনা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দলের মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তাপস বলছেন, "একেবারে প্রত্যন্ত এলাকায়, যেখানে নেটওয়ার্কের সমস্যা হয় সেসব এলাকা বাদ দিয়ে অন্তত দেড় হাজার জায়গায় প্রধানমন্ত্রীর কথা শোনানোর ব্যবস্থা করছি। থাকছে দেখানোর ব্যবস্থাও।"

Advertisement

জেলা বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, শহর, গঞ্জ-সহ অন্তত একশোটি জায়গায় বিশেষ ব্যবস্থা থাকছে। সেখানে ছাউনি করে এলইডি টিভি কিংবা বড় পর্দা করে প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা দেখানো হবে। লোডশেডিং হলে থাকছে জেনারেটরের ব্যবস্থাও। দলের কর্মী ও বিভিন্ন পেশার বিশিষ্টজনদেরও আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। জেলা বিজেপির সম্পাদক গৌতম কৌড়ি বলেন, "মন কি বাত অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগে ও পরে প্রধানমন্ত্রীর ভাবনা ও তার বাস্তবায়ন নিয়ে মত বিনিময়ের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে কিছু জায়গায়।"

জেলা বিজেপির এক নেতা মানছেন, "প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য আরও বেশি করে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁঁছে দেওয়ার উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। শীর্ষ স্তর থেকে সেরকমই নির্দেশ এসেছে।"

বিজেপির এই কর্মসূচি নিয়ে অবশ্য খোঁচা দিতে ছাড়ছে না তৃণমূল। তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি বলছেন, "একাধারে বাংলাকে বঞ্চনা করবে, অন্যধারে মন কি বাত শোনাবে, বিজেপির এই দ্বিচারিতা বাংলা মানবে না।"

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন