তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত শঙ্করপুর

সমুদ্রে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা উঠছে ১৪ জুন। এ দিনই ট্রেলারগুলোতে সমুদ্রে পাড়ি দেওয়ার কথা। ৭-১০ দিন সমুদ্রে থাকার জন্য পর্যাপ্ত বরফ বোঝাই করে নিতে ট্রলারগুলি শঙ্করপুর মৎস্য জেটিতে দাঁড়ায়। ৯ জুন থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে বরফ বোঝাই করার কাজ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাঁথি শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০১৭ ০২:২৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

ট্রলারে বরফ তোলা নিয়ে বিবাদ। হাতাহাতিতে জড়াল তৃণমূল ও বিজেপি শ্রমিক সংগঠন। তারই জেরে সোমবার দিনভর উত্তেজনা শঙ্করপুর মৎস্যবন্দরে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হল কমব্যাক্ট ফোর্স ও বিশাল পুলিশ বাহিনী। সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসলেন মহকুমাশাসক ও মহকুমা পুলিশ আধিকারিক। তবে সমাধান সূত্র মেলেনি। বিকেল থেকেই শঙ্করপুরে বসানো হল পুলিশ পিকেট।

Advertisement

সমুদ্রে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা উঠছে ১৪ জুন। এ দিনই ট্রেলারগুলোতে সমুদ্রে পাড়ি দেওয়ার কথা। ৭-১০ দিন সমুদ্রে থাকার জন্য পর্যাপ্ত বরফ বোঝাই করে নিতে ট্রলারগুলি শঙ্করপুর মৎস্য জেটিতে দাঁড়ায়। ৯ জুন থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে বরফ বোঝাই করার কাজ।

প্রশাসন অবশ্য আগেই মন্দারমণি উপকূল থানায় বৈঠক করেছিল। নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল কে কতগুলি ট্রলারে বরফ তুলতে পারবে। শঙ্করপুরে দীর্ঘদিন একাই কাজ করেছে সিটু। গত বছর থেকে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন কাজ করছে। কিন্তু গত ৯ জুনই শঙ্করপুরে সিটুর কার্যালয় দখল করে নেয় বিজেপির শ্রমিক সংগঠন। রাতারাতি সিটুর প্রায় সব শ্রমিক বিজেপিতে যোগ দেন।

Advertisement

তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের নেতা মণিশঙ্কর প্রধানের দাবি, “আমরা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করছিলাম। কিন্তু বিজেপি বাইরে থেকে লোক এনে আক্রমণ করে। আমাদের সংগঠনের সভাপতি রাধামাধব দাস-সহ তিন জন আহত হয়েছেন। বিজেপি আমাদের কাজ করতে দিতে চাইছে না।’’

এ দিন শঙ্করপুরে ফের এক দফা বৈঠকে বসেন কাঁথির মহকুমাশাসক শুভময় ভট্টাচার্য, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক পার্থ ঘোষ, স্থানীয় বিডিও প্রীতম সাহা। ছিলেন মৎস্যজীবীদের সংগঠন ‘ওয়েস্টবেঙ্গল ইউনাইটেড ফিশারমেন অ্যাসোসিয়েশন’-এর রাজ্য সভাপতি প্রণব কর এবং শঙ্করপুর মৎস্য বন্দরের শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ‘শঙ্করপুর ফিশারমেন অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সম্পাদক স্বদেশ নায়কও। কিন্তু সমাধান সূত্র বের হয়নি।

বিজেপি শ্রমিক সংগঠনের দাবি, তাদের বৈঠকে ডাকা হয়নি। সংগঠনের শঙ্করপুর কার্যালয়ে বসে বিজেপির জেলা সম্পাদক অনুপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, “মঙ্গলবার শ্রম কমিশনে অভিযোগ জানাব।’’ দু’পক্ষের অনমনীয় মনোভাবের জন্য দিনভর কোনও ট্রলারে বরফ ওঠেনি। ফলে চিন্তায় ট্রলার মালিকেরা। প্রভাব পড়েছে শঙ্করপুরের পর্যটন শিল্পের উপর। বেশ কিছু পর্যটকও এ দিন বাড়ি ফিরে যেতে চেয়েছেন। বারাসাত থেকে সপরিবারে এসেছিলেন সমীর রায়। তিনি জানালেন , “দিন চারেকের জন্য এসেছিলাম। কিন্তু এ ভাবে চললে কাল বিকেলেই বাড়ি ফিরে যাব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন