আক্রান্ত: চিকিৎসা চলছে ওই যাত্রীর। নিজস্ব চিত্র
বাসের পিছন দিকের সিটে বসেছিলেন বয়স্ক এক ভদ্রলোক। কলকাতা থেকে উঠে সেটা লক্ষ্য করেছিলেন অনেকেই। কিন্তু দিঘা যাওয়ার পথে একে অন্যের দিকে তাকানোর সুযোগ হয়নি কারও। কাঁথির কাছে এসে কেউ কেউ দেখেন ষাটোর্ধ্ব ওই ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। রূপশ্রী বাইপাসে আসতেই তাঁর মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা উঠতে শুরু করে। দেরি করেননি সহযাত্রীরা। বাস থামিয়ে ডেকে আনেন বাইপাসে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মী, সিভিক ভলান্টিয়ারদের।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা নাগাদ কলকাতা থেকে ছাড়ে দিঘা-কলকাতা রুটের সরকারি বাসটি। একেবারে প্রথম থেকেই সে বাসে ছিলেন ওই ব্যক্তি। কাঁথির কাছে তাঁকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করায় পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে অনুমান মাদক খাইয়ে তাঁর ব্যাগ, মোবাইল, আংটি লুঠ করেছে দুষ্কৃতীরা। পরিচয় না জানা গেলেও ওই ব্যক্তি পকেটে একটি প্যান কার্ড পাওয়া গিয়েছে। তা থেকে পুলিশের অনুমান বছর পঁয়ষট্টির ওই ব্যক্তির নাম নিত্যরঞ্জন নন্দগোস্বামী। বাবার নাম নীলমণি নন্দগোস্বামী। প্যানকার্ডের সূত্র ধরেই ওই ব্যক্তির ঠিকানা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। তবে কার্ডটি ওই ব্যক্তিরই কিনা তা নিয়েও খানিকটা ধন্দে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সন্ধ্যা পর্যন্ত কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলেন না তিনি। ফলে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করতে পারেনি পুলিশ। কাঁথি থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির কোনও ব্যাগ, মোবাইল পাওয়া যায়নি। সম্ভবত সেগুলি খোয়া গিয়েছে। এমনকী, তাঁর হাতের আঙুল দীর্ঘদিন পরে থাকা আংটির সাদা দাগ দেখে পুলিশের অনুমান, অচৈতন্য করে দুষ্কৃতীরা তাঁর দামী আংটি খুলে নিয়ে গিয়ে থাকতে পারে। এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
সরকারি বাসে লুঠের ঘটনায় আতঙ্কিত যাত্রীরা। কলকাতা থেকে আসা বাসে যাত্রী ছিলেন যথেষ্ট। ফলে কী ভাবে এমন ঘটনা ঘটল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পুলিশের দাবি, সুস্থ হয়ে উঠলে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হবে। তখন অনেক তথ্যই উঠে আসবে।