লক্ষ্য ‘স্মার্ট ইন্ডিয়া’, নয়া প্রযুক্তির খোঁজ

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০১৯ ০২:৫১
Share:

আইআইটিতে হ্যাকাথন। নিজস্ব চিত্র

লক্ষ্য উন্নত দেশ গড়া। আর সে জন্য কৃষি, শিক্ষা থেকে পরিবহণ—প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রয়োজন পড়ছে প্রযুক্তির। সেই মতোই আধুনিক প্রযুক্তির উদ্ভাবনে ‘স্মার্ট ইন্ডিয়া হ্যাকাথন-২০১৯’ আয়োজিত হল প্রযুক্তির পীঠস্থান আইআইটিতে।

Advertisement

শনিবার সকাল থেকে খড়্গপুর আইআইটিতে শুরু হয়েছে এই ‘হ্যাকাথনে’র সফটওয়্যার সংস্করণ। আজ, রবিবার প্রতিযোগিতার শেষ দিন। কেন্দ্রের মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের পরিচালনায় দেশের ৪৮টি প্রতিষ্ঠানে একযোগে এই প্রতিযোগিতা হচ্ছে। প্রায় ৬ হাজার পড়ুয়াকে নিয়ে ১৪০০টি দলে অনুষ্ঠিত হচ্ছে হ্যাকাথন। আইআইটি খড়্গপুরে সফটওয়্যার প্রতিযোগিতায় ৩২টি দলে ১৯২জন প্রতিযোগী ও ৩৬জন মেন্টর যোগ দিয়েছেন। দু’দিনের মধ্যে সর্বোত্তম প্রযুক্তি নির্ভর সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন উদ্ভাবনই চ্যালেঞ্জ পড়ুয়াদের।

আইআইটির নালন্দা কমপ্লেক্সে এই আসর বসেছে। সফল তিনটি দলকে পুরস্কৃত করা হবে বলে আইআইটি সূত্রে জানানো হয়েছে। এই কর্মসূচির আইআইটির আহ্বায়ক তথা ইলেক্ট্রনিক্স বিভাগের অধ্যাপক শৈলেন্দ্র কে ভার্শনী বলেন, “গত বছর হ্যাকাথনের হার্ডওয়্যার সংস্করণ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। দেশকে প্রযুক্তির দিক থেকে আরও স্মার্ট করে তোলার উদ্দেশ্যে হ্যাকাথনের সফটওয়্যার সংস্করণ প্রতিযোগিতা হচ্ছে এ বার। আগামীদিনে পড়ুয়াদের উদ্ভাবিত সফটওয়্যার দেশের প্রগতিতে কাজে লাগবে বলে আমরা আশাবাদী।”

Advertisement

আইআইটি সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার সফটওয়্যার সংস্করণে তিনটি বিষয় দেওয়া হয়েছে। তবে অধিকাংশ পড়ুয়া কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ণ সংক্রান্ত বিষয় বেছেছে। এ ছাড়াও ছিল স্মার্ট যোগাযোগ ও শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়। প্রতিযোগীরা নিজেদের ভাবনায় সাজিয়ে তুলেছেন নানা অ্যাপ্লিকেশন। যেমন মহারাষ্ট্রের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে আসা হিমাংশু পাওয়ার ও দিব্যা পাওয়ারের দল তৈরি করেছে কৃষি জমিতে রাসায়নিক সার ব্যবহার রোধে ‘অ্যাড্রিনো’ নির্ভর অ্যাপ্লিকেশন। হিমাংশু বলেন, “আমরা জমিতে ব্যবহারযোগ্য একটি যন্ত্র তৈরি করেছি। ওই যন্ত্রে ধরা পড়বে কীট। এতে রাসায়নিক প্রভাব কমাবে। আর ওই যন্ত্র নিয়ন্ত্রণে ও সুরক্ষিত রাখতে এই সফটওয়্যার কাজ করবে।” আইআইটি রুরকির বরুণ রাঠৌর, সাক্ষ্মী প্রিয়াদের দল তৈরি করেছে ‘আগ্রো গ্রো’ সফটওয়্যার। সাক্ষ্মী প্রিয়ার কথায়, “আনাজের বাজারদর নিয়ে সমীক্ষা চালিয়ে এই সফটওয়্যার তৈরি করছি। একজন চাষি কোন মরসুমে কী চাষ করলে মুনাফা পাবেনস তা এই সফটওয়্যারে জানতে পারবেন।”

সেরা শিরোপা কে পায়, সেটাই দেখার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement