BJP

‘ব্রাত্য’ বিজেপি বিধায়কেরা

বিজেপি’র সদ্য নির্বাচিত বিধায়কদের জেলা পরিষদের সংবর্ধনা-বৈঠকে না ডাকার অভিযোগ উঠল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

তমলুক শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০২১ ০৬:১৪
Share:

এই অনুষ্ঠানেই বিজেপি বিধায়কেরা ডাক পাননি বলে নালিশ। নিজস্ব চিত্র।

\রাজ্যের গেরুয়া শিবির তেমন ভাল ফল না করলেও পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূলকে টক্কর দিয়েছে বিজেপি। জেলার ১৬টি বিধানসভা আসনের মধ্যে সাতটি পেয়েছে তাঁরা। বিজেপি’র ওই সদ্য নির্বাচিত বিধায়কদের জেলা পরিষদের সংবর্ধনা-বৈঠকে না ডাকার অভিযোগ উঠল।

Advertisement

এবারের বিধানসভা নির্বাচনে জেলার নব-নির্বাচিত বিধায়ক, রাজ্য মন্ত্রীসভায় স্থান পাওয়া সেচ-জলপথ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, মৎস্য প্রতিমন্ত্রী অখিল গিরিকে সংবর্ধনা দিতে উদ্যোগী হয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ। শনিবার তমলুকের নিমতৌড়িতে জেলা পরিষদের অফিসের সভাকক্ষে হওয়ার কথা ছিল সেই অনুষ্ঠানের। অনুষ্ঠানে ডাক মিলেছিল জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ ও সদস্যদেরও। তবে শুক্রবার রাতে রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা দিয়ে জানায়, কোনও অনুষ্ঠানে ১০ জনের বেশি লোকজনের জমায়েত করা যাবে না। এতেই সংবর্ধনার অনুষ্ঠান বাতিল করে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকের কর্মসূচি নেন জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ। ওই আলোচনাসভায় জেলার বিজেপি বিধায়কদের ডাকা হয়নি বলে অভিযোগ। ডাক পাননি বিজেপিতে যোগ দেওয়া জেলা পরিষদের মৎস্য-প্রাণী সম্পদ কর্মাধ্যক্ষ আনন্দময় অধিকারীও।

আলোচনা সভায় মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, অখিল গিরি ছাড়াও সোহম চক্রবর্তী, বিপ্লব রায়চৌধুরী, ফিরোজা বিবি-সহ তৃণমূলের বিধায়কেরা হাজির ছিলেন। ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবব্রত দাস, সহ-সভাধিপতি শেখ সুফিয়ান, কৃষি-সেচ কর্মাধ্যক্ষ শেখ শাহজহান এবং অন্য কর্মাধ্যক্ষ ও জেলাপরিষদ সদস্যেরা। ডাক না পাওয়া প্রসঙ্গে হলদিয়ার বিজেপি বিধায়ক তাপসী মণ্ডল বলেন, ‘‘জেলা পরিষদের উদ্যোগে বিধায়কদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বা আলোচনাসভায় আমাদের ডাকা হয়নি। কী কারণে ডাকা হয়নি তা জানি না। তবে এতে যে রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে, তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।’’

Advertisement

জেলা পরিষদের মত এক সরকারি প্রতিষ্ঠানে মন্ত্রী ও বিধায়কদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বা আলোচনা সভায় বিজেপি বিধায়কদের ডাকা হয়নি কেন? জেলাপরিষদের সহ-সভাধিপতি সুফিয়ান বলেন, ‘‘করোনা পরিস্থিতির কারণে মন্ত্রী-বিধায়কদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছিল। তবে এদিন মন্ত্রী ও বিধায়কদের সঙ্গে আমাদের দলের জেলা পরিষদের সদস্যদের পরিচয় করার জন্য কেবল সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছিল। তাই বিজেপি বিধায়কদের ডাকা হয়নি।’’

অন্যদিকে, রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ অস্বীকার করে সৌমেন বলেন, ‘‘বিধায়করা জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে থাকেন। কিন্তু জেলা থেকে নির্বাচিত বিজেপির যে সাতজন বিধায়ক শপথ গ্রহণ করেছেন তাঁদের কেউ বিধানসভায় স্পীকার নির্বাচনে এবং অধিবেশনে যোগ দেননি। ফলে তাঁরা এখনও বিধানসভায় নথিভুক্ত সদস্য না হওয়ায় জেলা পরিষদের সদস্য হননি। তাই এদিন জেলাপরিষদের আলোচনাসভায় তাঁদের ডাকা হয়নি। তাঁরা জেলাপরিষদের সদস্য হলেই অবশ্যই জেলাপরিষদের বৈঠকে ডাকা হবে। পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ
ঠিক নয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন