Congress

শুভেন্দুর পাশে কংগ্রেস কাউন্সিলর, শুরু জল্পনা

বৃহস্পতিবার, চতুর্থীর সন্ধ্যায় শহর মেদিনীপুরে শুভেন্দু একাধিক পুজোর উদ্বোধন করেন। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি নেত্রী তথা পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২২ ০৯:৩৮
Share:

পাশাপাশি: (বাঁ-দিক থেকে) সইফুল, ভারতী এবং শুভেন্দু। নিজস্ব চিত্র

রাজনীতির রং খেলছে উৎসবেও!

Advertisement

মেদিনীপুরে এসে সর্বজনীন দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তখন তাঁর পাশে ছিলেন স্থানীয় কংগ্রেস কাউন্সিলর। তা নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা। সুযোগ তৃণমূলের কটাক্ষ, দিল্লিতে ‘কুস্তি’,এখানে ‘দোস্তি’!

বৃহস্পতিবার, চতুর্থীর সন্ধ্যায় শহর মেদিনীপুরে শুভেন্দু একাধিক পুজোর উদ্বোধন করেন। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি নেত্রী তথা পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ। শুভেন্দুর হাতেই উদ্বোধন হয় মির্জাবাজার দক্ষিণ কুমোরপাড়া সর্বজনীন দুর্গোৎসবের। ৫১তম বর্ষে পুজোর উদ্বোধনে শুভেন্দুর পাশে ছিলেন কংগ্রেস কাউন্সিলর মহম্মদ সইফুল। এলাকাটি শহরের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত। সইফুল এই ওয়ার্ডেরই কাউন্সিলর। জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেসের প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপি।

Advertisement

বিজেপিরও লক্ষ্য, কংগ্রেসকে আরও দুর্বল করা। সেখানে শুভেন্দুর পাশে যুব কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সইফুলের উপস্থিতি বিস্মিত করেছে স্থানীয়দের একাংশকেও।

কংগ্রেস শিবিরের দাবি, এ নেহাতই উৎসবের সৌজন্য। এলাকার কাউন্সিলর সইফুল ওই পুজোয় গিয়েছেন। শুভেন্দুর সঙ্গে একমঞ্চে? সইফুলেরও জবাব, ‘‘আমি এলাকার কাউন্সিলর। পুজো কমিটি ডেকেছিল। তাই গিয়েছিলাম। কাউন্সিলর হিসেবে এলাকার পুজোয় যাওয়াটা আমার কর্তব্যের মধ্যেই পড়ে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘ওঁর সঙ্গে সামান্য কিছু কথাই হয়েছে। কোনও রাজনৈতিক কথাবার্তা আমাদের মধ্যে হয়নি। আমাদের আদর্শগত মতপার্থক্য আছে। উৎসবে কোনও পার্থক্য নেই। থাকতেপারে না।’’

তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক আশিস চক্রবর্তীর খোঁচা, ‘‘এ রাজ্যে ওই দুই দলের বোঝাপড়া আছে। মেদিনীপুরের এই ঘটনায় তা আরও একবার স্পষ্ট হল!’’ গেল পুরভোটে আশিসকে হারিয়েই এখানে জয়ী হন সইফুল। জয়ের ব্যবধান ছিল ৫৮৯ ভোটের। স্থানীয় সূত্রে খবর, পুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সইফুলের প্রশংসাও করেন বিরোধী দলনেতা। তিনিও বুঝিয়ে দেন, এটাই সৌজন্য। অনুষ্ঠানে ছিলেন জেলা বিজেপির মুখপাত্র অরূপ দাসও। অরূপের কটাক্ষ, ‘‘সৌজন্য কী, তৃণমূল সেটাই বোঝে না!’’ শহরে এসে শুভেন্দুও স্পষ্ট করেছেন, ‘‘আমরা কিছু কিছু জিনিসকে রাজনীতির বাইরে রাখতে চাই। তার মধ্যেদুর্গোৎসব একটি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন