শ্রীনু হত্যা মামলা

ভোল বদলে গোপন জবানবন্দি সেই নন্দর

ক’দিনের মধ্যেই একেবারে ভোলবদল! প্রথমবার আদালতে এসে বেঁকে বসা নন্দ দাসই এ বার গোপন জবানবন্দি দিল শ্রীনু হত্যা মামলায়। শুক্রবার মেদিনীপুরের এসিজেএম আদালতে গোপন জবানবন্দি দেয় শ্রীনু হত্যায় ধৃত নন্দ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:১৬
Share:

ক’দিনের মধ্যেই একেবারে ভোলবদল! প্রথমবার আদালতে এসে বেঁকে বসা নন্দ দাসই এ বার গোপন জবানবন্দি দিল শ্রীনু হত্যা মামলায়। শুক্রবার মেদিনীপুরের এসিজেএম আদালতে গোপন জবানবন্দি দেয় শ্রীনু হত্যায় ধৃত নন্দ। আর তারপর থেকেই শুরু হয়েছে জল্পনা। গোপন জবানবন্দিতে নন্দ কার কার নাম বলেছে, তা নিয়েই চলছে চর্চা। কেউ মনে করছে, নন্দ হয়তো ‘বড়মাথা’র নাম বলেছে। সত্যি কি তাই? এই মামলার বিশেষ সরকারি আইনজীবী সমর নায়েকের জবাব, “গোপন জবানবন্দিতে ও কার কার নাম বলেছে, সেটা এ ভাবে বলা সম্ভব নয়। তবে এই মামলার তদন্তে তো পুরনো মাফিয়ার নাম এসেছে। তদন্ত এখনও চলছে।’’

Advertisement

সমরবাবু জানান, নন্দ নিজেই গোপন জবানবন্দি দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিল। আদালতে ওর আবেদন মঞ্জুর হয়। শ্রীনু হত্যা মামলায় এখনও পর্যন্ত যে ১২ জন গ্রেফতার হয়েছে, তাদের মধ্যে নন্দ অন্যতম। সে এখন জেল হেফাজতে রয়েছে। গ্রেফতারের পরেই গোপন জবানবন্দি দেওয়ার কথা ছিল নন্দর। তখন মেদিনীপুর আদালতে পুলিশ এই আবেদন জানিয়েছিল। কিন্তু সে বার বিচারকের কাছে গিয়ে বেঁকে বসে নন্দ। গোপন জবানবন্দি দেবে না বলে জানিয়ে দেয়। সেই সময় আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নন্দ আরও জানিয়েছিল, শ্রীনু হত্যায় বিজেপি বিধায়ক দিলীপ ঘোষ যুক্ত নয়। তবে রামবাবু যুক্ত থাকতে পারে। এরপরই দাঁতনের এক ডাকাতির মামলায় নন্দকে অভিযুক্ত করে পুলিশ। তখন নন্দর অভিযোগ ছিল, শ্রীনু হত্যা মামলায় সে গোপন জবানবন্দি দিতে চায়নি বলেই পুলিশ তাকে ডাকাতির মামলায় ফাঁসিয়েছে। এরপর দ্রুত পরিস্থিতি বদলায়। জেল সুপারের কাছে চিঠি লিখে গোপন জবানবন্দি দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করে নন্দ। শ্রীনু খুনের ক্ষেত্রে নন্দ অনেক কিছু জানে বলেই দাবি মামলার বিশেষ সরকারি আইনজীবী সমরবাবুর। তাঁর কথায়, “ওই দিন (ঘটনার দিন) যে গাড়িতে দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছয়, সেই গাড়ির ব্যবস্থা নন্দই করে দিয়েছিল।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement