আর নয়, দুর্ঘটনা রোধে যান শাসনে এককাট্টা পুলিশ

ইতিমধ্যেই পুলিশের তরফে বাস-মিনিবাস-সহ বিভিন্ন যানবাহনের মালিককে ডেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, চালক যদি মদ্যপ অবস্থায় থাকেন বা গাড়ি চালাতে চালাতে মোবাইল ফোনে কথা বলেন তাহলে চালক তো বটেই, গাড়ির মালিককেও গ্রেফতার করা হতে পারে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঘাটাল শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০০:২৮
Share:

যানশাসনে চলছে পুলিশি অভিযান। বুধবার। ছবি: কৌশিক সাঁতরা

বার বার নানা ভাবে সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু ‘কাকস্য পরিবেদনা’। সম্প্রতি পর পর দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের দিকে অভিযোগের আঙুল ওঠায় এ বার নাছোড় পুলিশ।

Advertisement

তাদের মতে মৌখিক ভাবে কড়া শাসন, নানা ভাবে সতর্ক করা হলেও ট্রাফিক আইন মানা নিয়ে গাড়ির চালকদের গাফিলতি কিছুতেই বন্ধ করা যাচ্ছে না। যার ফলে বাড়ছে দুর্ঘটনা। বিশেষত মোটর বাইতের ক্ষেত্রে। তাই এ বার ট্রাফিক আইন ভাঙলে বা নির্দেশ না মানলে আর ছাড় নয়। প্রয়োজনে লাইসেন্স বাতিলই নয়, গ্রেফতারও করা হবে। ইতিমধ্যেই পুলিশের তরফে বাস-মিনিবাস-সহ বিভিন্ন যানবাহনের মালিককে ডেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, চালক যদি মদ্যপ অবস্থায় থাকেন বা গাড়ি চালাতে চালাতে মোবাইল ফোনে কথা বলেন তাহলে চালক তো বটেই, গাড়ির মালিককেও গ্রেফতার করা হতে পারে। প্রয়োজনে গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হবে। এ নিয়ে প্রচারও করা হয়েছে, যাতে কেউ বলতে না পারেন যে তিনি বিষয়টি জানতেন না।

বুধবার থেকে সেই লক্ষ্যেই অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। এ দিন বিভিন্ন রাস্তায় যান শাসন করতে দেখা গিয়েছে পুলিশকে। ক্রমাগত বেড়ে চলা দুঘর্টনার রাশ টানতেই এমন পদক্ষেপ জরুরি বলে মনে করছে পুলিশ। গত একমাসে ঘাটাল মহকুমায় পথ দুঘর্টনাতই দশজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের সিংহভাগই বাইক আরোহী। সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদে ভয়াবহ বাস দুঘর্টনা, খড়্গপুরের সতকুইয়ে এবং শালবনির দুর্ঘটনার পরই ট্রাফিক ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে উদ্যোগী হয়েছে জেলা পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, বিনা হেলমেটে বাইক চালালেই লাইসেন্স বাতিল করা হবে। একই সঙ্গে গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করলেও একই শাস্তি হবে। শুধু তাই নয়, যত্রতত্র বাস, অটো বা ট্রেকার দাঁড় করানো যাবে না। নির্দিষ্ট স্ট্যান্ডেই থামবে বাস-ট্রেকার এবং নির্দিষ্ট সময়েই বাসস্ট্যান্ড ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হবে। এর অন্যথা হলেই চালকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি বাস-ট্রেকারের ছাদে যাত্রীবহন এবং অতিরিক্ত যাত্রী তোলা হলেও এবার সংশ্লিষ্ট গাড়ি আটক করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। লরি বা ট্রাক মালিকরাও অতিরিক্ত পণ্য নিয়ে রাস্তায় চলাচল করলেও একই ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।

যান শাসনের পাশাপাশি রাস্তা দখল করে ইমারতির কারবার পুরোপুরি বন্ধ করতেও উদ্যোগী হয়েছে পুলিশ। রাস্তার ধারে বালি-ইট পড়ে থাকলে বা ফেলার সময় নজরে এলেই গাড়ি মালিকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাজেয়াপ্ত করা হবে বালি-সহ সমস্ত নির্মাণ সামগ্রী।

জেলার পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘দুঘর্টনা যে ভাবে বাড়ছে তাতে তা নিয়ন্ত্রণ করতেই এই পদক্ষেপ। নতুন কিছু নিয়ম চালু করা হয়েছে। এখন থেকে আইন না মেনে গাড়ি চালালেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন