পুরসভা আমাদের দিন, খড়্গপুরে আহ্বান শুভেন্দুর

বাম-কংগ্রেস-বিজেপি ও বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের মহাজোট হওয়ার পর থেকেই পশ্চিম মেদিনীপুরের রামজীবনপুর পুরসভা নিয়ে উদ্বেগে তৃণমূল। কংগ্রেসের ‘গড়’ হিসেবে পরিচিত খড়্গপুরেও মসৃণ জয় নিয়ে চিন্তায় শাসক দল। তাই পুরভোটের একেবারে শেষ লগ্নের প্রচারে রামজীবনপুর ও খড়্গপুরে এসে দলীয় প্রার্থী থেকে স্থানীয় নেতৃত্বের মনোবল চাঙ্গা করে গেলেন তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর ও ঘাটাল শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০১৫ ০১:১৪
Share:

খড়্গপুরের মালঞ্চর সেনচকের সভায় সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ।

বাম-কংগ্রেস-বিজেপি ও বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের মহাজোট হওয়ার পর থেকেই পশ্চিম মেদিনীপুরের রামজীবনপুর পুরসভা নিয়ে উদ্বেগে তৃণমূল। কংগ্রেসের ‘গড়’ হিসেবে পরিচিত খড়্গপুরেও মসৃণ জয় নিয়ে চিন্তায় শাসক দল। তাই পুরভোটের একেবারে শেষ লগ্নের প্রচারে রামজীবনপুর ও খড়্গপুরে এসে দলীয় প্রার্থী থেকে স্থানীয় নেতৃত্বের মনোবল চাঙ্গা করে গেলেন তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী।

Advertisement

পুরভোটে তৃণমূল প্রার্থীদের সমর্থনে খড়্গপুরে মালঞ্চর সেনচকে ও পাঁচবেড়িয়ায় প্রচার সভা করেন তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেস অভিযোগ করছে, পুরসভায় তারা রাজ্য সরকারের সাহায্য পাচ্ছে না। তাই রাজ্যে যে দল রয়েছে, তাদের হাতেই পুরবোর্ড তুলে দিলেই উন্নয়ন হবে। এ কথা আমরা নয়, বিরোধীরাই বলছে।’’ তিনি বলেন, ‘‘আমি বলছি, যখন এলাকার সাংসদ তৃণমূলের, রাজ্যে আমাদের সরকার, তখন আমাদের হাতেই পুরসভা তুলে দিন। অন্য কোথাও ভোট দিয়ে নষ্ট করবেন না।’’

রেলশহরে পুরবোর্ডে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় রয়েছে কংগ্রেস। তাই এ দিনের সভায় কংগ্রেসের সমালোচনা করে শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘‘খড়্গপুরে দীর্ঘদিন কংগ্রেস পুরবোর্ডে রয়েছে। কিন্তু কোনও উন্নয়ন চোখে পড়েনি। দেশে ওরা ধুয়েমুছে গিয়েছে।’’ তাঁর কটাক্ষ, ‘‘কলকাতায় পুরভোটে মালা রায়ের মতো নেত্রীরা লড়াই করেছেন। আসলে অধীর চৌধুরীর নৌকো ফুটো হয়ে গিয়েছে।’’ শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘‘সচিত্র পরিচয়পত্র নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যান। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন। সিপিএমের মতো আমাদের লোকেরা ভোটকেন্দ্রে চটঘেরা জায়গায় যাবেন না। নিজের ভোট নিজেই দিন।’’

Advertisement

অন্য দিকে, এ দিন খড়্গপুরের কৌশল্যা মোড়ে কংগ্রেস প্রার্থী বিষ্ণুস্বরূপ পাণ্ডের সমর্থনে একটি প্রচারসভায় যোগ দেন বিধায়ক মানস ভুঁইয়া। সভায় শাসক দলকে কটাক্ষ করে মানসবাবু বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর দল বলছে রাজ্যে যে দল ক্ষমতায় আছে তারাই যদি পুরসভায় আসে তবে উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়। তাহলে কেন্দ্রে তো নরেন্দ্র মোদীর সরকার। তাই বিজেপি যদি বলে, সমস্ত রাজ্যে নরেন্দ্র মোদীর দল ক্ষমতায় থাকলে উন্নয়ন বেশি হবে। সেটা কি মুখ্যমন্ত্রী
সমর্থন করবেন?”

ঘাটাল মহকুমার রামজীবনপুর পুরসভাতেও এ দিন সকালে রোড-শো করেন সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে ছিলেন আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার, শ্যাম পাত্র, কল্যাণ তেওয়ারি-সহ অন্যরা। রামজীবনপুরের ফাঁড়িগোড়া থেকে হুডখোলা গাড়িতে করে কালীতলা, পুরসভার মোড়, নতুনহাট, পুরাতন হাট, চেকপোস্ট-সহ একাধিক এলাকা ঘোরেন তাঁরা। ফাঁড়িগোড়ায় কয়েক মিনিটের বক্তব্যে শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘‘২০০৫ সাল থেকে সিপিএমের বাড়বাড়ন্তের সময়েও এখানে তৃণমূলের নেতৃত্বে পুরসভা দখল করেছিল। এ বার মহাভোটের অপপ্রচার শুনছি। কিন্তু আমি বলছি, আগেও এখানে আমরা ক্ষমতায় ছিলাম। এবারও নিরুঙ্কুশ ভাবে ফের ক্ষমতায় আসব।” অপরূপাদেবীর কথায়, ‘‘সব ক্ষেত্রেই উন্নয়নের জোয়ার আনব। ওই খিচুড়ি জোট নিয়ে আমরা চিন্তিত নই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন