বধূকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন স্বামী-সহ চার জন। মঙ্গলবার খড়্গপুর গ্রামীণের বেনাপুরের ঘটনা। মৃতের নাম লক্ষ্মী প্রামাণিক (২১)। এ দিন রাতেই খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে লক্ষ্মীর মৃত্যু হয়। মৃতার বাবা গৌতম দিগার মেয়েকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা ও বধূ নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে মৃতার স্বামী শম্ভু প্রামাণিক, শ্বশুর গোপাল প্রামাণিক, শাশুড়ি সন্ধ্যা প্রামাণিক ও ভাসুর স্বপন প্রামাণিককে গ্রেফতার করে খড়্গপুর গ্রামীন থানার পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর তিনেক আগে বেলদার বাসিন্দা লক্ষ্মীর সঙ্গে বেনাপুরের শম্ভু প্রামাণিকের বিয়ে হয়। পেশায় শ্রমিত শম্ভু বিয়ের পর থেকেই লক্ষ্মীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করত বলে অভিযোগ। মৃতার বাপের বাড়ির লোকেদের অভিযোগ, লক্ষ্মীকে বাপের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য প্রায়ই চাপ দিত শম্ভু ও শ্বশুরবাড়ির অন্য লোকেরা। তাঁর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনও চালানো হত।
পুলিশ সূত্রে খবর, সম্প্রতি অশান্তি চরমে পৌঁছয়। অভিযোগ, লক্ষ্মীর উপর নিয়মিত মারধরও শুরু হয়। মৃতার বাপের বাড়ির লোকেদের মধ্যস্থতার সমস্যার সাময়িক সমাধান হলেও ফের গোলমাল শুরু হয়। মঙ্গলবার দুপুরেও লক্ষ্মীর সঙ্গে শ্বশুরবাড়ির লোকেদের অশান্তি হয়। এরপরেই বিষ খেয়ে লক্ষ্মী ছটফট করতে থাকেন বলে অভিযোগ। চিৎকার শুনে পড়শিরা এসে লক্ষ্মীকে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। ওই দিন রাতে হাসপাতালে লক্ষ্মীর মৃত্যু হয়।
লক্ষ্মীর বাবা গৌতম দিগারের অভিযোগ, “স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেরা আমার মেয়ের উপর নিয়মিত অত্যাচার করত। এত অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মেয়ে বিষ খেয়েছে। আমি ওঁর শ্বশুরবাড়ির সকলের শাস্তি চাই।” ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে খড়্গপুর গ্রামীন থানার পুলিশ।
ডিএসও’র দাবি। পার্ট- থ্রি উত্তীর্ণ সকল ছাত্রছাত্রীদের দ্রুত ত্রুটিমুক্ত মার্কশিট দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ডিএসও। ডিএসও-র জেলা সম্পাদক মণিশঙ্কর পট্টনায়েক বলেন, “বুধবার থেকে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর কোর্সের ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অথচ, এখনও উত্তীর্ণ সকলে মার্কশিট পায়নি।” বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আশ্বাস, শীঘ্রই ছাত্রছাত্রীরা মার্কশিট পেয়ে যাবে।