হেলমেটহীন বাইক আরোহীদের সচেতনতা বাড়াতে পথে পড়ুয়ারা। নিজস্ব চিত্র।
এতদিন ঘাটাল মহকুমার সদর শহরে হেলমেট ছাড়া মিলছিল না পেট্রল। এ বার শহর ছাড়িয়ে গ্রামের পাম্পগুলিতেও নজরদারি শুরু করল পুলিশ। হেলমেটবিহীন মোটরবাইক আরোহীদের তেল বিক্রি বন্ধে উদ্যোগী হল মহকুমা প্রশাসন। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে সচেতনতা থেকে মাইকিংও শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে দাসপুরের বরুনা হাইস্কুলে তিনদিনের একটি শিবিরও হয়েছে।
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন বাইক চালালে হেলমেট পরতেই হবে। মাথায় হেলমেট না থাকলে জ্বালানিও দেওয়া যাবে না। ঘোষণার পরই গোটা রাজ্যের সঙ্গে ঘাটালেও নির্দেশ কাযর্করী করতে নজরদারি শুরু করেছিল পুলিশ। এর জেরে ঘাটাল শহর-সহ দাসপুর ও চন্দ্রকোনা শহরেও এখন হেলমেট ছাড়া ফুয়েল বিক্রি বন্ধের মুখে। শহরের এই সাফল্যের পর মহকুমার ৪৮টি পঞ্চায়েত এলাকায় প্রচার শুরু করেছে প্রশাসন। জেলা পুলিশের এক পদস্থ কর্তার দাবি, “গ্রাম-গঞ্জেও বহু পাম্প রয়েছে। কিন্তু ওই সব এলাকায় এই নির্দেশ এখনও পৌঁছায়নি ।ফলে হেলমেট ছাড়াই গ্রাম বা একটু ছোট শহরের পাম্পগুলিতে হেলমেট ছাড়া দিব্বি তেল বিকোচ্ছে। তাই এ বার গ্রামে গ্রামে মাইকিং এবং স্কুলের ছাত্রদের নিয়ে শুরু হয়েছে সচেতনতা।”
সূত্রের খবর, ১ অগস্ট থেকে ৩ অগস্ট পযর্ন্ত দাসপুরের বরুনা হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ তিন দিনের শিবির করে ফেলেছে। এমনকী রাস্তায় নেমে ছাত্র-ছাত্রীরা হেলমেট বিহীন বাইক আরোহীদের দাঁড় করিয়ে মাথায় হেলমেট পরিয়েও দিয়েছে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুজিত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “শিবিরের পর পড়ুয়ারাই পাড়ায় গিয়ে প্রচার শুরু করেছে। শিবিরের পর পাশাপাশি পাম্পগুলিতে হেলমেট ছাড়া তেল বিক্রিও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অনেকে হেলমেটও কিনেছেন।’’